Advertisement
E-Paper

ফের চোপড়ায় দু’পক্ষের গুলি-বোমাবাজির নালিশ

ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক মণ্ডল বলেন, ‘‘একটা উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু গন্ডগোল হওয়ার আগেই ঘটনার খবর পেয়ে এসডিপিও ও আইসি ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বাড়িতে লুটপাট আর ভাঙচুরের একটি অভিযোগ মিলেছে। সেই মতো তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৮ ০৭:১১

দুই পক্ষের গণ্ডগোলের জেরে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল চোপড়া। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার চোপড়া থানার কোটগছে কংগ্রেস ও তৃণমূলের সদস্যরা একে অপরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়, একে অপরের বিরুদ্ধে তারা বোমাবাজিরও অভিযোগ তোলে। ঘটনায় তাদের দুই কর্মী জখম হন বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ দিন কিছু ক্ষণ গ্রামীণ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা। গুলি ও বোমাবাজির বিষয়টি অবশ্য অস্বীকার করেছে পুলিশ।

ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক মণ্ডল বলেন, ‘‘একটা উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু গন্ডগোল হওয়ার আগেই ঘটনার খবর পেয়ে এসডিপিও ও আইসি ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বাড়িতে লুটপাট আর ভাঙচুরের একটি অভিযোগ মিলেছে। সেই মতো তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

কংগ্রেসের অভিযোগ, এ দিন তাঁদের এক কর্মী মহম্মদ তাহেরুল কোটগছের দিক দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকাই তাঁর উপরে হামলা চালায় তৃণমূলের সমর্থকেরা। তাঁকে মারধর করে তাঁর বাইক ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকার কংগ্রেস কর্মীরা সেখানে পৌঁছলে একে অপরকে লক্ষ্য করে তারা গুলি ছোড়ে ও বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। সেই সময়েই তাঁদের আরও এক কর্মীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ করে কংগ্রেস।

পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল কর্মীরাও। যুব তৃণমূল নেতা জিয়াউল হক বলেন, ‘‘এ দিন আমাদের কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় কংগ্রেস কর্মীরা। বাড়িতে লুটপাটের পাশাপাশি মারধরও করে। গুলি ও বোমাবাজি করে তারা।’’

চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান বলেন, ‘‘শুধু লুটপাট চালানোর জন্যই এলাকায় গুন্ডামি করে বেড়াচ্ছে কিছু দুষ্কৃতী। তারা কংগ্রেসের ছত্রছায়ায় থেকেই ওই ঘটনা ঘটাচ্ছে। এ দিন আমাদের কর্মীর বাড়ি থেকে লুট হওয়া গরু উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ ওই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে পারলেই সমস্ত সমস্যা মিটে যাবে।’’

অপর দিকে, চোপড়া ব্লক সভাপতি কংগ্রেসের অশোক রায় বলেন, ‘‘নির্বাচনের আগে থেকেই এলাকায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে তৃণমূল। আমাদের কর্মীদের মারধর করেছে। গুলি চালাচ্ছে, বোমাবাজি করছে এলাকায়। আমরা পুলিশে অভিযোগ জানাব।’’ অশোকবাবুর দাবি, এলাকার পরিস্থিতি শান্ত করতে সর্বদল বৈঠকের প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘‘প্রশাসন তা কেন করছে না জানি না।’’

রবিবারই চোপড়ার লক্ষ্মীপুরের চাকলাগছ এলাকায় তৃণমূলের গুলিতে এক কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ দিন আবারও কোটগছে কংগ্রেস ও তৃণমূলের গন্ডগোলে বাসিন্দাদের দাবি, পুলিশ দ্রুত এই পরিস্থিতি বদলাতে ব্যবস্থা নিক।

Clash TMC Congress Violence
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy