Advertisement
২৮ মার্চ ২০২৩
ইংরেজবাজার

প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে বিক্ষোভ

রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল মালদহের ইংরেজবাজারের একটি পরীক্ষাকেন্দ্র। যার ফলে রবিবার প্রায় দু’ঘণ্টা পর পরীক্ষা শুরু হয় ইংরেজবাজারের হোলি চাইল্ড ইংলিশ অ্যাকাডেমিতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৪৩
Share: Save:

রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল মালদহের ইংরেজবাজারের একটি পরীক্ষাকেন্দ্র। যার ফলে রবিবার প্রায় দু’ঘণ্টা পর পরীক্ষা শুরু হয় ইংরেজবাজারের হোলি চাইল্ড ইংলিশ অ্যাকাডেমিতে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তুলে পরীক্ষা বাতিলের দাবি তুলেছেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ।

Advertisement

অভিযোগ, প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ওএমআর শিটের কোনও মিল ছিল না। পরীক্ষা শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ফাঁস হয়ে গিয়েছে প্রশ্নপত্র। তার পরেও পরীক্ষা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাই পুনরায় পরীক্ষার দাবিতে এ দিন বিক্ষোভ দেখান পরীক্ষার্থীদের একাংশ। মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক আর ভিমলা বলেন, ‘‘জেলার মাত্র একটি কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরু হতে সময় লেগেছে। পরীক্ষার্থীরা লিখিত ভাবে কিছু জানালে তা খতিয়ে দেখা হবে।’’

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার জন্য মালদহ জেলায় ৬৯টি কেন্দ্র হয়েছে। প্রায় দশ হাজার জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন। এ দিন দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত ৪৫ নম্বরের পরীক্ষা হয়। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজারের হোলি চাইল্ড ইংলিশ অ্যাকাডেমিতে মোট পরীক্ষার্থী রয়েছে ৭৯৮ জন। পরীক্ষা শুরু সময় দু’টি ঘরে প্রশ্নপত্র দেওয়ামাত্র পরীক্ষকেরা প্রশ্নপত্র এবং উত্তরপত্র পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়ে নেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ওএমআর শিটের মিল ছিল না। সেই প্রশ্নপত্র নিয়েও পরীক্ষার্থীদের একাংশ তাড়াহুড়ো করে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যায়।

পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে স্কুলে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান পরীক্ষার্থীরা। ঘটনাস্থলে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ গেলেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে মালদহের মহাকুমাশাসক সন্দীপ নাগও পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। অতিরিক্ত জেলাশাসক আর ভিমলা গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। তার পরেই প্রায় দু’ঘণ্টা পরে দুপুর ২টো নাগাদ ফের পরীক্ষা শুরু হয়। তবে শতাধিক পরীক্ষার্থী আর পরীক্ষা দেননি। তাঁদের অভিযোগ, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরেও কেন পরীক্ষা নেওয়া হল। পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আদালতে দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.