Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

উপাচার্য নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তিন সদস্যের যে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে তাদের কাছে উপাচার্যের পদের জন্য অনেক আবেদন জমা পড়েছে। তা থেকে সার্চ কমিটি নাম বেছে আচার্যকে পাঠাবেন।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:১৪
Share: Save:

মেয়াদ ফুরনোয় শনিবার শেষ দিন অফিস করেই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব ছাড়লেন সোমনাথ ঘোষ। পরবর্তী উপাচার্য কে হবেন সার্চ কমিটি তা ঠিক করতে না পারায়, অথবা সরকারের তরফে অন্তর্বর্তীকালীন কাউকে এখনও ওই পদে না বসানোয় উপাচার্যের পদ এ দিন থেকে ফাঁকা পড়ে থাকছে। গত দু-দশকে এ ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ কখনও ফাঁকা থাকেনি বলে দাবি শিক্ষক-অধ্যাপক-শিক্ষাকর্মীদের।

উপাচার্যের উপরে আচার্য রয়েছেন এবং উপাচার্যের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের ভূমিকা রয়েছে। তা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কাজকর্ম দেখভালের প্রধান দায়িত্ব বর্তায় উপাচার্যের উপরেই। সে দিক থেকে অনেকেই বিষয়টিকে বিশ্ববিদ্যালয় ‘অভিভাবকহীন’ হয়ে পড়ার সামিল বলেই মনে করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তিন সদস্যের যে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে তাদের কাছে উপাচার্যের পদের জন্য অনেক আবেদন জমা পড়েছে। তা থেকে সার্চ কমিটি নাম বেছে আচার্যকে পাঠাবেন। আচার্য সিলমোহর দিলে সেই মতো পরবর্তী উপাচার্য ঠিক হবে। একই পদ্ধতিতে উপাচার্যের পদে এসেছিলেন সোমনাথবাবুও।

উপাচার্য হিসেবে অরুণাভ বসু মজুমদারের মেয়াদ ফুরনোর পর তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। পরে অন্তর্বর্তী কালীন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল সমীরকুমার দাসকে। অরুণাভবাবু দায়িত্ব ছাড়ার আগেই সেই চিঠি পৌঁছেছিল। আবার সমীরবাবু দায়িত্ব ছাড়ার আগেই সোমনাথবাবুর বিষয়টি সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই কারণে উপাচার্যহীন হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়। এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার লক্ষ্মীকান্ত পাঁধী বলেন, ‘‘সার্চ কমিটি উপাচার্য ঠিক না-করা পর্যন্ত অন্তর্বর্তী কালীন উপাচার্য কে হবেন তা নিয়ে কোনও চিঠি এ দিন পর্যন্ত পাইনি। সরকারের তরফে নিশ্চয়ই কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমরা আশাবাদী।’’

মৌখিকভাবে রেজিস্ট্রারকে এ দিন দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন সোমনাথবাবু। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, শিক্ষক, শিক্ষা কর্মীদের অনেকেই তাঁর সঙ্গে সঙ্গে দেখা করতে যান। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সরকারি ভাবে কোনও চিঠি না-পৌঁছনোয় উপাচার্ষকে বিদায় জানাতে কোনও বিশেষ সভারও ব্যবস্থা ছিল না। তবে বাগডোগরা বিমানবন্দরে তাঁকে পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন অনেকেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE