Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Kali Puja

সন্ধে থেকেই ফাটল বাজি, চুলোয় নিয়ম

বাজি পোড়ানো নিয়ে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।তার পরেও বিহার নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর দেদারে বাজি ফেটেছে কোচবিহারে। 

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২০ ০৩:৫৩
Share: Save:

বিকেল গড়িয়ে সন্ধে নামতেই শব্দব্রহ্মের দাপট শুরু হল চতুর্দিকে। ভূত চতুর্দশীর সন্ধ্যায়, কোচবিহার শহরে বীরদর্পে নিজেদের উপস্থিতি জানিয়ে দিল শব্দবাজি। স্থানীয়দের অভিযোগ, টহলদারি পুলিশ ভ্যান ঘুরে বেড়ালেও ধরা গেল না বাজিভূতেদের।

অবশ্য বাজি আটকাতে দিন কয়েক আগে থেকেই ময়দানে নেমেছিল পুলিশ। ‘এ বারে কোনও বাজি নয়’— সোশ্যাল নেটওয়ার্কে এমন আবেদনও করেন বহু সাধারণ মানুষ। অনেক করোনা আক্রান্ত মানুষও বাজি না পোড়ানোর আবেদন জানান। তার পরেও কালীপুজোর একদিন আগে বাজি ফাটতে শুরু করায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পুলিশ-প্রশসানে।

কোচবিহারের পুলিশ সুপার কে কন্নান জানিয়েছেন, তাঁরা থানায় থানায় সতর্ক করেছেন অফিসারদের। সেই সঙ্গে সর্বত্র শুরু হয়েছে টহলদারি। জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘দুর্গাপুজোয় চ্যালেঞ্জ ছিল ভিড়, এবারে কালীপুজোতে বাজি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের নজরদারি বাড়নো হয়েছে।’’

এ বছরে কোভিড পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা বারে বারে ভিড় এবং বাজি নিয়ে সতর্ক করেছেন সবাইকে। বাজি পোড়ানো নিয়ে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তা ছাড়া বাজি পোড়ানো হলে, বায়ুদূষণ বাড়বে। তাতে করোনা আক্রান্ত এবং করোনা জয়ী সকলের সমস্যা বাড়বে। সে কথাও বলা হচ্ছে। তার পরেও বিহার নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর দেদারে বাজি ফেটেছে কোচবিহারে।

বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন, সেই বাজির উৎস নিয়ে, পুলিশের সক্রিয়তা নিয়ে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাদের হাতে বাজি মজুত রয়েছে, কারা বাজির ব্যবসা করছেন, তা আরও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হত পুলিশকে। গ্রামের দিকে কোন কোন দোকান থেকে বাজি বিক্রি হচ্ছে তা নিয়েও নজরদারি চালাতে হত। সেই জায়গায় খামতি থাকার জন্যেই বাজি চলে গিয়েছে সাধারণ মানুষের হাতে। যাঁদের একটি অংশ এখন বেপরোয়া আচরণ করছেন। অভিযোগ, বার বার সচেতন করার পরেও একটি অংশের মানুষ এখনও মাস্ক ছাড়াই বাইরে বেরিয়ে পড়ছেন। বাজির ক্ষেত্রেও সেই একইরকম বেপরোয়া মনোভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

অনেকেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কে বাজি এ বারের মতো বর্জন করতে আবেদন করছেন। হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম সাহা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘করোনা আবহে শব্দ বা আতশবাজি অনেকের কাছে মারাত্বক ক্ষতিকারক হতে পারে। দীপাবলি ও শ্যামাপূজার আনন্দ থাকুক আলোতে, বাজিতে নয়।’’ তাঁকে সমর্ত্থন করেছেন অনেকেই। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কাউকে বাজি পোড়াতে হাতেনাতে ধরা হলে, আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kali Puja cracker
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE