Advertisement
E-Paper

গুদামে হামলা, নালিশ শিলিগুড়িতে

গভীর রাতে দু’টি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির মালপত্র লুঠপাট ও নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল গুদাম মালিকদের বিরুদ্ধে। শিলিগুড়ির স্টেশন ফিডার রোডে শুক্রবার রাতের ঘটনা বলে অভিযোগ। ওই গুদামে ওই দু’টি ট্রান্সপোর্ট সংস্থা তাদের মালপত্র রেখেছিল বলে জানা গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৬ ০১:৩৯
গুদামে ভাঙচুর ফিডার রোডে। —নিজস্ব চিত্র।

গুদামে ভাঙচুর ফিডার রোডে। —নিজস্ব চিত্র।

গভীর রাতে দু’টি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির মালপত্র লুঠপাট ও নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল গুদাম মালিকদের বিরুদ্ধে। শিলিগুড়ির স্টেশন ফিডার রোডে শুক্রবার রাতের ঘটনা বলে অভিযোগ। ওই গুদামে ওই দু’টি ট্রান্সপোর্ট সংস্থা তাদের মালপত্র রেখেছিল বলে জানা গিয়েছে। সংস্থার তরফে অভিযোগ, গুদাম মালিকের পাঠানো লোকেরা রাতে ওই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও গুদাম মালিকের পাল্টা দাবি, সংস্থা দু’টি নিজেরাই ওই ঘটনা ঘটিয়েছে।

শনিবার বিকেলে শিলিগুড়ি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, ‘‘ঠিক কী হয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি থানা লাগোয়া ওই জমির মালিক মুন্দ্রা পরিবার। গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই জমিতে গুদাম ভাড়া নিয়েছে পাঁচটি কোম্পানি। বছর দেড়েক আগে গুদামের মালিকপক্ষ গুদামগুলি খালি করার জন্য ভাড়াটেদের চাপ দেওয়া শুরু করে বলে অভিযোগ। ভাড়াটেরা গুদাম ছাড়তে রাজি না হয়ে আদালতে পাল্টা মামলা করে। তাঁদের উঠিয়ে দেওয়ার জন্যই মালিকপক্ষ ওই দিন লোক পাঠিয়ে লু্ঠপাট ও ভাঙচুর চালিয়েছে বলে দাবি তাঁদের। ভাড়াটেদের পক্ষে মনতোষ কুমারের অভিযোগ, ‘‘রাতে ১০-১২ জনের একটি দল এলাকায় ঢুকে আমাদের এক নৈশপ্রহরী গণেশ রায়কে বেঁধে বেশ কিছু সামগ্রী লুঠ করে ও নষ্ট করে দেয়।’’ ঘটনার পরে কমল মুন্দ্রা, রাজেশ মুন্দ্রা, সীতারাম মুন্দ্রা, রাহুল মুন্দ্রা-সহ আরও কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অপর এক ভাড়াটে সন্দীপ অগ্রবালও ভাঙচুরের অভিয়োগ জানিয়েছেন। যদিও অভিযোগ ঠিক নয় বলে দাবি করে মালিকপক্ষের তরফে সীতারাম মুন্দ্রা বলেন, ‘‘নিজেরাই ভাঙচুর করে, মাল সরিয়ে আমাদের ফাঁসাতে চাইছে। অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘আমাদের তিনজন নিরাপত্তা রক্ষী থাকেন রাতে। তাই কেউ ঢুকলে ওঁরা দেখতে পেতেন। এ সব মিথ্যা।’’ যদিও নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্বেও কীভাবে ভিতরে এত লোক ঢুকল তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন ভাড়াটেরা।

Warehouse
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy