E-Paper

খেজুর রস আবারও মিলছে, তবে সঙ্গে থাকছে নিপা-সতর্কতা

এখন খেজুর রস খোলাবাজারে ১০ থেকে ১৫ টাকা প্রতি গ্লাস দরে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক বছর আগে খেজুর রস থেকে নিপা ভাইরাস ছড়ানোর আতঙ্কে অনেকেই কাঁচা রস খেতে ভয় পেয়েছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:১৬
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আগে শীত এলেই গ্রামেগঞ্জে সহজেই খেজুর রস পাওয়া যেত। কুয়াশায় মোড়া সকালে মিষ্টি-শীতল খেজুর রসে মজতেন আমবাঙালি। কিন্তু ছবিটা কিছুটা বদলেছে। গ্রামীণ এলাকায় নগরায়ণের ছোঁয়ায় কাটা পড়েছে বহু খেজুর গাছ। গত বেশ কয়েক বছর ধরে তাই সে ভাবে মিলছিল না খেজুর রস। যেটুকু মিলছিল, নিপা ভাইরাসের ভয়ে তা বাজারে খুব একটা বিক্রি হচ্ছিল না। তবে এ বছর আবারও উত্তরের বেশ কিছু গ্রাম-শহরে পাওয়া যাচ্ছে খেজুর রস। বিক্রিও হচ্ছে দেদার।

বংশীহারি ব্লকের খিদিরপুরের বাসিন্দা সন্তোষ রায় এ বছর প্রায় ৫০টি খেজুর গাছে হাঁড়ি বেঁধেছেন। তিনি বলেন, ‘‘কয়েক বছর এ কাজ বন্ধ ছিল। এলাকায় সে ভাবে গাছও ছিল না। যা ছিল খুব ছোট ছোট। এ বছর গাছগুলি রস নেওয়ার উপযোগী হয়েছে। তাই বিক্রিও হচ্ছে।’’ এ বার খেজুর গাছের মালিকদের থেকে চুক্তিতে গাছ নিচ্ছেন রস বিক্রেতারা। চুক্তি অনুযায়ী, একদিনের রস নেন গাছের মালিক এবং পরের দিনের রস নেন বিক্রেতারা। মালিকদের প্রাপ্য রস অবশ্য বিক্রেতারা মালিকদের থেকে কিনে নিয়ে বিক্রি করেন বাজারে। কিছুটা গুড় তৈরির কাজে লাগে।

এখন খেজুর রস খোলাবাজারে ১০ থেকে ১৫ টাকা প্রতি গ্লাস দরে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক বছর আগে খেজুর রস থেকে নিপা ভাইরাস ছড়ানোর আতঙ্কে অনেকেই কাঁচা রস খেতে ভয় পেয়েছিলেন। এ বার ভয় উড়িয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর, গঙ্গারামপুর ও বালুরঘাট শহরে কাকভোরে দেখা মিলছে খেজুর রসের। বুনিয়াদপুরের বাসিন্দা প্রশান্ত তেওয়ারি বলেন, ‘‘বহু বছর পরে খেজুর রস খেলাম। ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল।’’

তবে নিপা ভাইরাস যাতে না ছড়ায়, তার জন্য খেজুর গাছে হাঁড়ির মুখ ঢেকে রাখার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস বলেন, ‘‘হাঁড়ির মুখ খোলা থাকলে বাদুর মুখ দিতে পারে আর তা থেকে নিপা ভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই হাঁড়ির মুখ ঢেকে রাখা দরকার।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Date palm syrup Buniyadpur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy