গ্রুপ সি পদে কর্মরত এক তৃণমূল নেতার চাকরি বাতিল — ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এ বার এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন)-র গ্রুপ সি পদে কর্মরত এক তৃণমূল নেতার চাকরি বাতিলের খবরকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বাঁধল।কোচবিহারের মাথাভাঙা ২ ব্লকের তৃণমূল যুব সহ সভাপতি মদন বর্মণ নামে ওই নেতার ‘ওএমআর শিট’ সমাজ মাধ্যমে (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও মদনের দাবি, ‘‘সংবাদমাধ্যমেই প্রথম জানলাম, আমার চাকরি গিয়েছে। তবে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেই চাকরি পেয়েছি।’’
প্রাথমিক, উচ্চ-প্রাথমিকের পরে, এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন)-র গ্রুপ সি পদে নিয়োগেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এবং তাতে নাম জড়িয়েছে শাসক দলের। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পরে, এসএসসি যে ৭৮৫ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে ৩১২ নম্বরে নাম রয়েছে মাথাভাঙা ২ ব্লক যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি মদনের। একটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১৮ সাল থেকে কর্মরত ছিলেন মদন। মদনের দাবি, ‘‘যে ওএমআর শিটটি এসএসসি-র ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে সেটি আমার নয়। আমি পরীক্ষা দিয়ে নিজের যোগ্যতাতে চাকরি পেয়েছি। এই বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হব। তা ছাড়া, এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।’’ মদন যে স্কুলে কাজ করতেন সে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভাস্কর দে জানান, চাকরি বাতিলের বিষয়টি তাঁরাও শুনেছেন। তবে এই সংক্রান্ত কোনও সরকারি নির্দেশিকা বা মেল এখনও পাননি। এলাকার এক তৃণমূল নেতার মন্তব্য, ‘‘এমন সব কাণ্ড ঘটে বলেই লোকে দলের অন্যদের সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ পায়।’’
এর আগেও আদালতে নির্দেশে স্কুলের গ্রুপ-ডি পদে চাকরি খুইয়েছেন ব্লকের তৃণমূল যুব সভাপতি ধনীরাম বর্মণ। তিনি ফালাকাটার একটি হাই স্কুলে কর্মরত ছিলেন। এ বার বাতিল তালিকায় ফের এক তৃণমূল নেতার নাম উঠে আসায় চরম অস্বস্তিতেশাসক দল। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি। মাথাভাঙা বিধানসভার বিজেপির আহ্বায়ক অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, ‘‘দুর্নীতি যে হয়েছে, তা প্রথম থেকে স্পষ্ট ছিল। তৃণমূলের কর্মীরা ভেবেছিলেন অনিয়মের মাধ্যমে চাকরি পেয়ে পার পেয়ে যাবেন। গোটা শিক্ষামহল এ জন্য লজ্জিত।’’ কোচবিহার জেলা জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণের কথায়, ‘‘আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন। কেউ অসৎ উপায় চাকরি পেয়ে থাকলে, দল তাঁর পক্ষে থাকবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy