জলদাপাড়ায় একশৃঙ্গ গন্ডার। —ফাইল চিত্র।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে গন্ডারের বিচরণভূমি বাড়ানো হচ্ছে। নতুন করে তিনশো হেক্টর জমিতে তৈরি হচ্ছে তৃণভূমি। তোর্সা নদীর উত্তর দিক বরাবর জাতীয় উদ্যানের উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিম রেঞ্জে নতুন এই তৃণভূমি তৈরির কাজ চলছে। উত্তরের এই জাতীয় উদ্যানে গন্ডারের সংখ্যাক্রমশ বৃদ্ধির জেরেই এই তৃণভূমি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বলে বন দফতর সূত্রে খবর।
সূত্রের খবর, জলদাপাড়ায় একশৃঙ্গ গন্ডারের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। শেষ সুমারি অনুযায়ী সেখানে ২৯২টি গন্ডার পাওয়া গিয়েছিল। যার মধ্যে ১০১টি ছিল পুরুষ ও ১৩৪টি স্ত্রী গন্ডার। তবে বাকি ৫৭টি গন্ডার স্ত্রী না পুরুষ তা অবশ্য সেই সুমারিতে স্পষ্ট করা হয়নি। প্রায় ২১৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই বনাঞ্চলের প্রায় অর্ধেক এলাকায় গন্ডারের বসবাসের পরিবেশ রয়েছে। এই জাতীয় উদ্যানে গন্ডারের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করায় এ বার সেখানে তাদের বিচরণভূমি বাড়ানো হচ্ছে। এজন্য প্রায় দু’মাস আগে থেকে নতুন করে প্রায় তিনশো হেক্টর জমিতে তৃণভূমি তৈরির কাজ শুরু হয়। যা প্রায় শেষের পথে বলে জানিয়েছেন বন কর্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, সব ঠিক থাকলে আগামী বছর জানুয়ারি মাসেই সেই তৃণভূমির একটি অংশ গন্ডারদের বিচরণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
বন দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান থেকে কিছু গন্ডার কোচবিহারের পাতলাখাওয়ার জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মাস্টার প্ল্যান ইতিমধ্যেই অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে। সেই অনুযায়ী পাতলাখাওয়ার জঙ্গলে গন্ডারদের বাসভূমি তৈরির উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার কাজও চলছে। কিন্তু জলদাপাড়ার জঙ্গলেও অনেকদিন ধরে নিজেদের বাসভূমির বাইরেও বেশ কিছু গন্ডারকে বিচরণ করতে দেখা যাচ্ছে। সেই লক্ষ্যেই এই জাতীয় উদ্যানে গন্ডারের বিচরণভূমি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও সন্দীপ বেরওয়াল বলেন, “আমাদের জাতীয় উদ্যানে আরও প্রায় তিনশো হেক্টর জমিকে গন্ডারের বসবাসের উপযোগী করে তোলা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy