স্কুলে জন্মেছে আগাছা। জলপাইগুড়িতে। নিজস্ব চিত্র
কোন স্কুল সংস্কারে কত অর্থ প্রয়োজন, জানতে চাইল রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। সব জেলার জেলাশাসকের কাছে নির্দেশ পাঠিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলগুলির পরিকাঠামো সংস্কারে কত অর্থ চাই, জানাতে বলা হয়েছে। প্রতিটি স্কুলের জন্য আলাদা পরিকল্পনা করে জেলা প্রশাসনকে সেই পরিকল্পনা ‘ভেটিং’ অর্থাৎ মঞ্জুর করতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে, বিস্তারিত পরিকল্পনা পাওয়ার পরে অর্থ মঞ্জুর করা হবে। এই কাজে শিক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসককে নোডাল অফিসার হিসেবে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছে দফতর।
জলপাইগুড়ি শহরের একাধিক স্কুলের মাঠে লম্বা ঘাস গজিয়েছে। আগাছায় ভরেছে খেলার মাঠ। দেওয়াল ফাটিয়ে দিয়ে বট-পাকুড় গাছ বের হয়েছে। ছাদ চুইয়ে জল গড়াচ্ছে। এ ক্ষেত্রে শুধু গাছের চতারা কাটলেই হবে না দেওয়ালগুলি পলেস্তার করতে হবে রংও করতে হবে। জলপাইগুড়ির একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, “দু’বছর ধরে স্কুলে কোনও সংস্কারের কাজ করা যায়নি। কাজেই অল্পবিস্তরে হবে না। সার্বিক মেরামত করতে হবে।” স্কুল শিক্ষা দফতর গত ৭ সেপ্টেম্বর তারিখে যে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে, তাতে অবশ্য খরচের কোনও সীমারেখা টানা হয়নি। যে স্কুলে যেমন প্রয়োজন তেমনই অর্থ বরাদ্দ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, একাধিক দফতর থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হবে। প্রতি জেলা প্রশাসনের কাছেই নিজস্ব তহবিলে বা নিজস্ব বরাতের কিছু অর্থ থাকে সেখান থেকে বরাদ্দ হবে। এর পরে জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ হতে পারে। তা ছাড়া উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর, পূর্ত দফতরের মতো দফতর থেকেও বরাদ্দ হতে পারে বলে খবর. সেই সঙ্গে স্কুলে পরিকাঠামোগত সংস্কারের জন্য অর্থ দফতর সরাসরি শিক্ষা দফতরের খাতেও অর্থ দিতে পারে বলে খবর।
স্কুল যে পুজোর পরে খুলতে পারে, সেটা রাজ্যের প্রস্তুতিতেই বোঝা যাচ্ছে, বলছেন শিক্ষকরা। এর আগে বাংলার শিক্ষা পোর্টালে কোন স্কুলের পরিকাঠামো কেমন, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। তার থেকে একটি ধারণা পেয়েই শিক্ষা দফতর এবার জেলাশাসকদের থেকে প্রস্তাব চেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিটি প্রস্তাব জেলা স্কুল পরিদর্শকদের দেখিয়ে নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে শিক্ষা দফতর। সবটাই জরুরি ভিত্তিতে সারতে নির্দেশ এসেছে জেলায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy