রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। — ফাইল চিত্র।
ডুয়ার্সের জঙ্গল ও লাগোয়া চা বাগানে এ বার চিতাবাঘের গণনা করবে বন দফতর। রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বুধবার এ খবর জানান। তার আগে, এ দিন বিষয়টি নিয়ে বিধানসভায় সরব হন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল।
ডুয়ার্সের বিভিন্ন জঙ্গল লাগোয়া এলাকা বা চা বলয়ে নানা সময়ে চিতাবাঘ হানা দেয়। যে ঘটনায় অনেকের মৃত্যুও হয়। এই অবস্থায় এ দিন বিধানসভায় চিতাবাঘ গণনার বিষয়টি তোলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন। তাঁর দাবি, “ডুয়ার্সের জঙ্গলে বিভিন্ন বন্য প্রাণীর গণনা হয়। কিন্তু এখানকার জঙ্গল বা লাগোয়া চা বাগান এলাকায় চিতাবাঘের হামলাও বিভিন্ন সময় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ডুয়ার্সের জঙ্গলে চিতাবাঘের সংখ্যা কত রয়েছে, তা নিয়েও অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে। তাই এখানে চিতাবাঘের সংখ্যা নির্ধারণ খুবই জরুরি। যাতে জঙ্গল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের বা তাঁদের গৃহপালিত পশুদের প্রাণ রক্ষায় পরবর্তীতে স অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে বন দফতর।”
সুমনের দাবি, বিধানসভায় বনমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এ দিন তিনি বিষয়টি তুলে ধরেন। যার উত্তরে বনমন্ত্রী তাঁকে জানান, চিতাবাঘের গণনা হয় না ঠিকই, কিন্তু এ বার তা হবে। পরে, ফোন বনমন্ত্রী জানান, আগামী বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে ডুয়ার্সের জঙ্গলে চিতাবাঘের গণনা শুরু হবে। গণনা হবে চা বাগানের ঝোপঝাড়েও। বনমন্ত্রীর কথায়, “ডুয়ার্সের জঙ্গল কিংবা লাগোয়া এলাকায় কত চিতাবাঘ এই মুহূর্তে রয়েছে, বা তাদের সংখ্যা কতটা বাড়ছে, তা বুঝতেই এই গণনার সিদ্ধান্ত।” ট্র্যাপ ক্যামেরার সাহায্যে গণনা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তবে চিতাবাঘ ও মানুষের সংঘাত এড়াতে ডুয়ার্সের চা বাগানগুলিকে আরও সচেতন হতে হবে বলেও দাবি মন্ত্রীর। তাঁর কথায়, “বাগানে যে সব জায়গায় চা উৎপাদন হয় না, সেই সব অনেক জায়গাই ঝোপে ভরে থাকে। ফলে, সেখানে ডেরা বাঁধে চিতাবাঘ।” সে ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা হলে চিতাবাঘের হানাও অনেকটা কমানো সম্ভব বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy