Advertisement
E-Paper

ঘরে ফিরতে ধর্নায় শ্রমিকরা

মহকুমাশাসক সুমন্ত সহায়, তাঁদের বাড়ি ফেরানোর আশ্বাস দিলে, তাঁরা শেল্টার হোমে ফিরে যান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২০ ০৫:৩৯
বাড়ি ফেরার দাবিতে শেল্টার হোম থেকে বেরিয়ে মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে ধর্নায় অসমের শ্রমিকেরা। ছবি: স্বরূপ সরকার

বাড়ি ফেরার দাবিতে শেল্টার হোম থেকে বেরিয়ে মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে ধর্নায় অসমের শ্রমিকেরা। ছবি: স্বরূপ সরকার

তাঁদের বাড়ি ফেরাতে প্রশাসনের কোনও উদ্যোগ নেই। শেল্টার হোমে ঠিকমতো খাবারও পাচ্ছেন না তাঁরা। এই অভিযোগ তুলে, বৃহস্পতিবার নিয়ম ভেঙে শেল্টার হোম থেকে বেড়িয়ে পড়লেন অসমের শ্রমিকেরা। জনা ৪০ জন এর পর তাঁদের বাড়ি ফেরানোর দাবিতে চার কিলোমিটার হেঁটে শিলিগুড়ি মহকুমাশাসকের অফিসের সামনে ধর্নায় বসেন। মহকুমাশাসক সুমন্ত সহায়, তাঁদের বাড়ি ফেরানোর আশ্বাস দিলে, তাঁরা শেল্টার হোমে ফিরে যান।

চম্পাসারি শ্রীগুরু বিদ্যামন্দিরের শেল্টার হোমে অসমের ওই শ্রমিকেরা রয়েছেন। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে বলা হয়েছে, তাঁদের খাবারের কোনও সমস্যা নেই। তবে তাঁরা বাড়ি ফেরার জন্য অধৈর্য হয়ে উঠেছেন। বেশ কয়েকদিন ধরে বাড়ি ফেরার দাবি জানাচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু রাস্তায় যাঁরা আটকে রয়েছেন, তাঁদের সমস্যা আরও বেশি। তাই আগে তাঁদের ঘরে ফেরানো প্রয়োজন।
মহকুমাশাসক এ দিন বলেন, ‘‘আটকে পড়া শ্রমিকদের সকলকে ঘরে ফেরানো হচ্ছে। অসমের ওই শ্রমিকদের মাথার উপর ছাদ রয়েছে। খাবার পাচ্ছেন। এই সময়ে অনেকের তাও নেই।‘’

আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে, অসমের শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হতে পারে বলে তিনি জানান। অসমের বিভিন্ন এলাকায় ওই শ্রমিকদের বাড়ি। বাড়ি ফেরার পথে শিলিগুড়িতে আটকে পড়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, পরিমাণ মতো খাবার দেওয়া হচ্ছিল না। সেই নিয়ে এ দিন প্রশাসনের কর্মীদের সঙ্গে শ্রমিকদের কথা কাটাকাটি হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানান, তাঁরা দু’সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সেখানে রয়েছেন। যতদিন যাচ্ছে, বাড়িতে তাঁদের পরিবারের সঙ্কট বাড়ছে বলে খবর পাচ্ছেন। তাতে ঘরে ফেরার জন্য আরও মরিয়া হয়ে গিয়েছেন তাঁরা। ওই শ্রমিকরা জানালেন, শেল্টার হোমে কষ্টে দিন কাটছে তাঁদের। ঘরে ফিরতে পারলে, তবুও পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারবেন।

Lockdown corona virus covid 19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy