Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Barbisha

লুকিয়ে রাজ্যে ঢুকে ধৃত মুর্শিদাবাদের ১৩ শ্রমিক

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। অসমে আটকে ছিলেন। একটি কন্টেনার লরির ভিতরেই ছিলেন ওই ১৩ জন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বারবিশা শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২০ ০৬:০১
Share: Save:

করোনা সংক্রমণ রুখতে আন্তঃরাজ্য সীমানা সিল করে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বহনকারী গাড়ির যাতায়াতের অনুমতি আছে। রয়েছে পুলিশের কড়া প্রহরাও। মানুষের যাতায়াত বন্ধ। বিশেষ অনুমতি নিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করে সরকারি নির্দেশ মেনে একমাত্র অসম বাংলা সীমানা দিয়ে যাতায়াত করতে পারেন কেউ। নির্দেশ ছিল এমনই।

কিন্তু অভিযোগ, এরপরেও পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে অসম থেকে ১৩ জন শ্রমিক অভিনব কায়দায় এ রাজ্যে ঢুকে পড়লেন। অবশ্য শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরাও পড়েন তাঁরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। অসমে আটকে ছিলেন। একটি কন্টেনার লরির ভিতরেই ছিলেন ওই ১৩ জন। লরিটি অসম-বাংলা সীমানার পাকড়িগুড়ি চেকপোস্ট পার করে চলেও এসেছিল। পাকড়িগুড়ি থেকে মাত্র এক কিলোমিটার যাওয়ার পরেই কোচবিহার জেলার জোড়াই নাকা পয়েন্টে ধরা পরে যায়।

পুলিশ দেখতে পায়, বাইরে থেকে তালা বন্ধ করা থাকলেও, কেবিন কেটে তৈরি করা হয়েছে একটি দরজা। সেখানেই মালপত্রের মধ্যে গা ঢাকা দিয়েছিলেন তাঁরা। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে জোড়াই পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরে কুমারগ্রাম থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, "তাঁদের বারবিশা নবো দয় বিদ্যালয়ের কোয়রান্টিন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।"

ঘটনার পরেই আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ সুপার পাকড়িগুড়ি নাকা চেকিং পর্যন্ত পরিদর্শনে আসেন বলে জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Barbisha Migrant Labourers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE