Advertisement
০৮ মে ২০২৪

‘রেড জ়োন’ নিয়ে ভয়, গুজবও

কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রক জেলাকে ‘রেড জোন’ করায় আতঙ্ক কমছে না কিছুতেই। সঙ্গে ছড়াচ্ছে গুজব। অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।

উদ্বেগ: বহিরাগতদের আটকাতে চাঁচলের পৌড়িয়ায় ব্যারিকেড। নিজস্ব চিত্র

উদ্বেগ: বহিরাগতদের আটকাতে চাঁচলের পৌড়িয়ায় ব্যারিকেড। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
মালদহ ও চাঁচল শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২০ ০৬:৪২
Share: Save:

মালদহে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত দু'জন। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত বারোটা পর্যন্ত ১৯৬ জনের লালারস পরীক্ষা করা হয়েছে। সকলেরই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। জেলায় এখনও পর্যন্ত ১০০২ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রক জেলাকে ‘রেড জোন’ করায় আতঙ্ক কমছে না কিছুতেই। সঙ্গে ছড়াচ্ছে গুজব। অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ নিয়ে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ। গুজব ছড়ানোর অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার সারি হাসপাতালে ১১ জন জন ভর্তি রয়েছেন। সকলেরই লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বাজারে ভিড় কম থাকলেও, লকডাউন ভাঙায় চাঁচলে ১০১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মহকুমার হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল, রতুয়া ও পুখুরিয়া থানা এলাকৈয় গত দু'দিনে অভিযান চালিয়ে তাদের ধরা হয়।

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত দু'জন হলেও, স্বাস্থ্য মন্ত্রক মালদহ জেলাকে ‘রেড জোন’ করায় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, "মালদহ জেলাকে কেন রেড জোনের আওতাভুক্ত করা হল তা আমরা জানি না।"

এ দিকে অভিযোগ, আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানো হচ্ছে এবং তাতে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা কখনও চার কখনো পাঁচ বা ততোধিক দেখানো হচ্ছে। এ নিয়ে বাসিন্দারা আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, "সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আমরা পাচ্ছি। এ ব্যাপারে পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে। প্রয়োজনে গুজব যাঁরা ছড়াচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।"

চাঁচলের পৌড়িয়ায় বহিরাগতদের আটকাতে রাস্তায় বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুরে কার্যত প্রতিটি পাড়ায় ঢোকার রাস্তা বাঁশের ব্যারিকেড বেঁধে সিল করে দিয়েছেন বাসিন্দারা। বাইরে থেকে কেউ যাতে অকারণে পাড়ায় ঢুকতে না পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

coronavirus lockdown red zone
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE