Advertisement
০২ মে ২০২৪
Rash Mela

রাসমেলাকে সামনে রেখে প্রচারে পর্যটন দফতর

কালীপুজো, দুর্গাপুজো বা একাধিক শক্তিপীঠ তো বটেই, বাংলার লক্ষ্মীপুজোকে সামনে রেখেও এ বার ‘ব্র্যান্ডিং’ করেছে পর্যটন দফতর। সেখানে গঙ্গাসাগর মেলার পরে, রাসমেলা রাজ্যের অন্যতম বড় মেলা।

An image of Rash Mela

রাসমেলার প্রচারে পর্যটন দফতর। —ফাইল চিত্র।

কৌশিক চৌধুরী
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৪৪
Share: Save:

২০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন কোচবিহার রাসমেলার গৌরবকে প্রচারে এনে পর্যটন-মানচিত্রে কোচবিহারের স্থান পাকা করতে চাইছে রাজ্য পর্যটন দফতর৷ আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে রাসমেলা শুরু। ২৬ নভেম্বর মদনমোহন বাড়িতে রাসচক্র ঘুরিয়ে রাস উৎসব হবে। মেলায় নেপাল, ভুটান এবং বাংলাদেশ থেকে ব্যবসায়ীরা যোগ দেবেন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা তো বটেই, বাইরে থেকেও বহু মানুষ, পর্যটক এই রাসমেলায় আসেন। তাকেই সামনে রেখে এ বার কোচবিহার পর্যটনকে প্রচারের আলোয় আনা হয়েছে।

কালীপুজো, দুর্গাপুজো বা একাধিক শক্তিপীঠ তো বটেই, বাংলার লক্ষ্মীপুজোকে সামনে রেখেও এ বার ‘ব্র্যান্ডিং’ করেছে পর্যটন দফতর। সেখানে গঙ্গাসাগর মেলার পরে, রাসমেলা রাজ্যের অন্যতম বড় মেলা। পর্যটন দফতরের এক যুগ্ম সচিবের কথায়, ‘‘রাসমেলাকে ঘিরে কোচবিহারের ইতিহাস, রাজকাহিনি, নির্দশন ঘুরে দেখার সুযোগ থাকে। সে ভাবেই কোচবিহারকে পর্যটন মানচিত্রে জোরদার ভাবে তুলে ধরার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বাইরের রাজ্যের মানুষের কাছে বিষয়টি তুলে ধরাই আসল।’’

ইতিমধ্যে ওই রাসমেলা নিয়ে তথ্যচিত্র করার পরিকল্পনা করেছে কোচবিহার পুরসভা। রাসমেলার ইউনেস্কোর ‘হেরিটেজ’ স্বীকৃতি আদায়ের পরিকল্পনা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে পুরসভা। তার আবেদনও করা হয়েছে। বর্তমানে রাসমেলা পরিচালনা করছেন কোচবিহার পুর কর্তৃপক্ষ। ১৯০৭ সালে তদানীন্তন টাউন কমিটি রাসমেলা পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। ১৯১২ সালে রাসমেলার শতবর্ষ পূর্ণ হয়। ২০১২ সালে দুশো বছর পূর্তিও ঘটা করে পালন করা হয়েছিল। কোচবিহারের মহারাজার নতুন প্রাসাদে প্রবেশ উপলক্ষে ১৮১২ সালে বিরাট মেলা বসে। সে সূত্রেই ২০১২ সালে কোচবিহার রাসমেলার দু’শোতম বর্ষপূর্তি হয়েছে।

এক সময় গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি, মোষের গাড়িতে দূরদূরান্ত থেকে রাসমেলায় আসতেন মানুষ। অবিভক্ত বাংলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রেনে বহু মানুষ কোচবিহারে আসতেন। রাজ প্রশাসনের তরফে রাসমেলার সময় বিশেষ ট্রেন চালানো হত। বর্তমানেও রাসমেলায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা আসেন। পদ্মার নোনা ইলিশ, ঢাকার জামদানি, ওপার বাংলার খেজুর গুড় মেলাতে মেলে। উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম বৃহত্তম এই মেলাকে সামনে রেখেই তাই পর্যটন প্রসার, প্রচারে নেমেছে পর্যটন দফতর। ‘হিমালয়ান হসপিটালিটি
অ্যান্ড টুরিজ়ম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গে কোচবিহার আলাদা ইতিহাস, ঐতিহ্য বহন করে। আর রাসমেলা মানেই বিরাট মানুষের সমাগম। পর্যটন দফতর যথার্থ বিষয় বেছে নিয়েছে। দরকার আরও প্রচারের।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE