Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
এমন আবহেই কোচবিহার সফরে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ১৫ ও ১৬ ডিসেম
Mihir Goswami

মিহিরের কেন্দ্র কার হাতে, দ্বন্দ্ব 

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এমন আবহেই কোচবিহার সফরে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:০৪
Share: Save:

বিধায়ক গিয়েছেন বিরোধী শিবিরে। এমন পরিস্থিতিতে কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে শাসক-শিবিরের অন্দরে ‘দ্বন্দ্ব’ তুঙ্গে। দলের অন্দরমহলের কানাঘুষো, আসরে নেমেছেন জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়, যুব সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, দলের দুই সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল আহমেদ এবং খোকন মিয়াঁ। মেখলিগঞ্জের বিধায়ক তথা কোচবিহার জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অর্ঘ্য্য রায় প্রধানও কর্মসূচি শুরু করেছেন ওই এলাকায়।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এমন আবহেই কোচবিহার সফরে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি তিনি কোচবিহার সফরে আসতে পারেন। সম্ভাব্য তারিখ ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর। দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিসেম্বরের মাঝামাঝি কোচবিহার সফরে আসতে পারেন। আমরা সে রকমই জেনেছি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।”

কোচবিহার শহর এবং শহর লাগোয়া ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র। ওই বিধানসভা তৃণমূলের শক্ত

ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ২০১১ সালে ওই বিধানসভা থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হন আব্দুল জলিল আহমেদ। তবে তিনি জিততে পারেননি। ২০১৬ সালে ওই কেন্দ্রে মিহির গোস্বামীকে প্রার্থী করা হয়।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত লোকসভা নির্বাচনে ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর থেকে সাড়ে ৬ হাজারের মতো ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। শহর এলাকায় এগিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু গ্রামে তৃণমূলেরই দাপট ছিল।

দলের নেতাদের একাংশ বলছেন, মিহির বিজেপিতে চলে যাওয়ায় ওই জায়গা ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। জলিল আহমেদ তাঁর পুরনো জায়গা ফিরে পেতে চাইছেন। খোকন মিয়াঁ দীর্ঘসময় কোচবিহার ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। তিনিও ওই জায়গার রাশ নিজের হাতে চাইছেন।

দলের নেতাদের একাংশের বক্তব্য, মিহিরের দলত্যাগে কর্মীদের একটি অংশের মনোবলে ধাক্কা লেগেছে। যদিও তৃণণূল নেতাদের অনেকের দাবি, মিহিরকে এলাকায় দেখা যেত না। তাই তাঁর দলত্যাগে কোনও ক্ষতি হবে না। কিন্তু এমন কথায় যে তেমন কাজ হবে না, তা বুঝতে পারছেন দলের নেতারা।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে এলাকাগুলিতে সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়েছে সেখানেই যাচ্ছেন দলনেত্রী। তাই ওই বিধানসভা কেন্দ্র এলাকাতেই তাঁর সভা হওয়ার কথা। রাসমেলার মাঠ, সাতমাইল স্কুলের মাঠের মতো চারটি জায়গাও দেখে রাখা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mihir Goswami BJP TMC Legislative Assembly
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE