পাচার করার ষ়ড়যন্ত্র আন্দাজ করে পালিয়ে বাড়ি ফিরে এলেন এক বধূ। সঙ্গেই পুলিশের হাতে তুলে দিলেন পাচারকারীকে, যিনি ওই বধূর স্বামীও। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির পূর্ব আলতাগ্রামের ঘটনা। রবিবার স্বামী ও ঘটকের নামে ধূপগুড়ি থানায় অভিযোগও জানিয়েছে বধূ। অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে পূর্ব আলতাগ্রামের সিরাজুল হকের মেয়ে মামুনি পারভিনের সঙ্গে জলপাইগুড়ি কোতয়ালির বানিয়া পাড়ার জামির হোসেনের বিয়ে হয়। মেয়ের পরিবারের দাবি, ঘটকের কথা বিশ্বাস করে বিয়ের কথাবার্তা চলার সময় তাঁরা বুঝতে পারেনি জামির আসলে পাচারকারী। আগে জানা গিয়েছিল জামিরের বাড়ি জলপাইগুড়িতে। কিন্তু অভিযোগ, বিয়ের পরে জলপাইগুড়ি না গিয়ে শিলিগুড়ির একটি ভাড়া বাড়িতে ওঠে জামির। দেড় মাস অতিক্রান্ত হলেও শিলিগুড়িতেই থাকায় সন্দেহ হয় বধূর মনে। ওই ভাড়া বাড়িতে অপরিচিত লোকদের আসতে দেখে সন্দেহ হয় ওই বধূর। টাকা আনার লোভ দেখিয়ে জামিরকে নিয়ে বাড়ি ফিরে সব ঘটনা খুলে বলেন ওই বধূ। চাপের মুখে পড়ে এলাকার পঞ্চায়েত ও গ্রামের মানুষের কাছে জামির নিজের দোষ স্বীকার করে। এর পরেই জামির হোসেনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।