মেয়ের সম্মান বাঁচাতে স্বামীকে খুন

মেয়ের সম্ভ্রম বাঁচাতে স্বামীকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করলেন প্রথম পক্ষের স্ত্রী৷ বানারহাটের কারবালা চা বাগানের এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ স্বামীকে খুনের অভিযোগে স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত প্রৌঢ় তাঁর প্রথম স্ত্রীর বাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে থাকতেন। পরে প্রথম স্ত্রী’র বোনকেও বিয়ে করেন৷ স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মাঝে মধ্যেই তারা দুই স্ত্রী-র মধ্যে ঝগড়া শুনতে পেতেন৷

বৃহস্পতিবার রাতে ফের দু’জনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়৷ তারপরই প্রথম পক্ষের স্ত্রী তাঁর স্বামীকে কুড়ুলের কোপ দিয়ে খুন করেন বলে অভিযোগ৷ রাত একটা নাগাদ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায়, বাড়ির উঠোনে উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছে ওই বাসিন্দার দেহ৷ চারদিক রক্তে ভেসে যাচ্ছে৷

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ অবশ্য জানতে পেরেছে, মাঝে মধ্যেই মদ্যপ অবস্থায় অভিযুক্ত তার প্রথম স্ত্রী-র বড় মেয়ের সঙ্গে অশালীন আচরণ করত। বুধবার রাতেও একই কাজ করার চেষ্টা করে সে৷ তখনই মেয়ের সম্মান বাঁচাতে তার স্ত্রী অভিযুক্তের মাথায় ও ঘাড়ে কুড়ুল দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ দিতে থাকেন৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার৷

বানারহাট থানার এক পুলিশ কর্তা জানান, মদ খেয়ে মাঝেমধ্যেই মেয়ের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করতো মৃত বাসিন্দা৷ তার জেরেই বুধবার রাতে এই ঘটনা৷ স্বামীকে খুন করার অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকালে ওই ব্যক্তির প্রথম স্ত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ মৃতের পরিবারের তরফে এ নিয়ে কেউ কিছু বলতে চাননি।