Advertisement
E-Paper

প্রচারে নিজেরাই ভরসা কংগ্রেসের

অন্য দলগুলো যেখানে তারকাদের হাজির করে শিলিগুড়ি পুরভোটে বাজিমাত করার চেষ্টা করেছে সেখানে শিলিগুড়ির কংগ্রেস নেতৃত্ব নিজেরাই লড়াইতে নেমেছে। জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকারের ভূমিকা তাতে গুরুত্বপূর্ণ। দেব বা লকেট চট্টোপাধ্যায় নয়, অধীর চৌধুরী, অমিতাভ চক্রবর্তী, প্রদীপ ভট্টাচার্য, সোমেন মিত্র, উত্তর মালদার সাংসদ মৌসম বেনজির নূর, মানস ভুইয়াঁ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী চন্দন সরকারের মতো বক্তিত্বরা

সংগ্রাম সিংহ রায়

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:২৪

অন্য দলগুলো যেখানে তারকাদের হাজির করে শিলিগুড়ি পুরভোটে বাজিমাত করার চেষ্টা করেছে সেখানে শিলিগুড়ির কংগ্রেস নেতৃত্ব নিজেরাই লড়াইতে নেমেছে। জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকারের ভূমিকা তাতে গুরুত্বপূর্ণ। দেব বা লকেট চট্টোপাধ্যায় নয়, অধীর চৌধুরী, অমিতাভ চক্রবর্তী, প্রদীপ ভট্টাচার্য, সোমেন মিত্র, উত্তর মালদার সাংসদ মৌসম বেনজির নূর, মানস ভুইয়াঁ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী চন্দন সরকারের মতো বক্তিত্বরা তাদের প্রচারের কেন্দ্র। তাই বলে প্রচারে কোনও রকম ঘাটতি ছিল না বলে বৃহস্পতিবার প্রচারের শেষ দিন দাবি করেছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকার। ভোট ঘোষণা হওয়ার পর প্রাক্তন মেয়র এবং জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে আলোচনা করে নিজেদের শক্তি অনুযায়ী পরিকল্পনা নিয়েছেন তাঁরা।

বুধবার রাত আড়াইটেয় শুয়েছেন। তবু এ দিন ভোর সাড়ে ৬ টায় ঘুম থেকে উঠে পড়েন শঙ্করবাবু। নিয়মিত শরীর চর্চা করেন। এদিনও সামান্য সময়ের জন্য সেই অভ্যাস বজায় রাখেন। এরপরে হাতমুখ ধুয়ে এক কাপ চা ও দুটো বিস্কুট খেয়েই লেগে পড়েন কাজে। সাড়ে সাতটা নাগাদ কয়েকজন দেখা করতে আসেন বিভিন্ন আর্জি নিয়ে। তাড়াতাড়ি কথা সেরে তৈরি হন প্রচারে বার হতে। ৯ টায় সময় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ভারতী পাত্রের হয়ে প্রচার সূচি রয়েছে। তার আগেই নিজের গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পরেন বিধায়ক। এই ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর গৌরী দত্ত বাম জমানাতেও কংগ্রেসের হয়ে দুর্গ সামলেছেন। অসুস্থতার কারণে এবার প্রার্থী বদল হলেও জয়ের ব্যাপারে তারা আশাবাদী। সেখান থেকে ১২ নম্বরে কংগ্রেস প্রার্থী বাসুদেব ঘোষ, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী সুজয় ঘটকের হয়ে প্রচার করেন। এ সবের মধ্যেই ফোন আসছিল।

ঘড়ি দেখলেন, সকালে চা-বিস্কুট খেয়ে বের হওয়ার পর আর খাওয়া হয়নি। এখন টানা কর্মসূচি, খাওয়ার সময় পাওয়া যাবে না। ফোনেই জানিয়ে দিলেন ৫ নম্বরের প্রার্থীর স্বামী রাজেশ যাদবকে। সেখানে গিয়েই পনিরের সবজি দিয়ে রুটি খেলেন।

খেতে খেতেই বললেন, ‘‘ওসব তারকা এনে কিস্যু হবে না। আসল কথা মানুষের সঙ্গে থাকা। শুধু ভোটের সময় নয়, সারা বছর য‌োগাযোগ রাখাটাই বড়।’’ খাওয়া শেষ হওয়ার আগেই তাড়া দিলেন দলের লোকেরা। ‘‘দাদা অনেকক্ষণ থেকে অপেক্ষায় আছি।’’ দ্রুত খাওয়া সেরে উঠে পড়েন। বাইরে তখন সমর্থকদের মধ্যে দলের প্রতীক লাগানো পতাকা, টুপি নিয়ে কাড়াকাড়ি চলছে। ডেকে নিলেন প্রার্থী রীতাদেবীকে।

এরপর একে একে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী পিন্টু ঘোষের হয়ে মিছিলে পা মেলানো। ৪০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ২ নম্বর ওয়ার্ডে। বেলা ২টা নাগাদ ২ নম্বর ওয়ার্ডে মিছিল শেষ করে বাড়ি গিয়ে স্নান। দশ মিনিট জিরিয়ে নেওয়ার মাঝেই ফোন বেজে যাচ্ছে। উঠে পড়লেন, চালকের খাওয়া হয়েছে কি না জেনে নিয়েই তাড়া দিলেন, পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে হবে। দলের কয়েকজন জেলা নেতারাও ততক্ষণে হাজির। তাঁদের নিয়ে রওনা হলেন পুলিশ কমিশনার, মহকুমাশাসকের দফতরে। অভিযোগ জানিয়ে ফিরছিলেন। কয়েকটা ওয়ার্ড নিয়ে চিন্তা রয়েই গিয়েছে। আবার কয়েকটি ওয়ার্ডে এবার ভাল ফলের আশাও করছেন।

congress poll campaign siliguri municipality poll campaign siliguri congress shankar malakar sangram sinha roy
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy