Advertisement
E-Paper

ধর্ষণে অভিযুক্তকে শনাক্ত করায় মহিলাকে ‘হুমকি’

ধর্ষণে অভিযুক্তকে গ্রেফতারে সাহায্য করায় বিজেপির এক মহিলা কর্মীকে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে এক সিভিক ভলান্টিয়ার্সের বিরুদ্ধে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৫৩

ধর্ষণে অভিযুক্তকে গ্রেফতারে সাহায্য করায় বিজেপির এক মহিলা কর্মীকে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে এক সিভিক ভলান্টিয়ার্সের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে কোচবিহারের কোতোয়ালি থানার ছোট নলঙ্গিবাড়ি এলাকায়। ওই মহিলার দাবি, তৃণমূলের কয়েকজন নেতার মদতে তাঁকে নিয়মিত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি বার দুয়েক তাঁর শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা হয়। আতঙ্কে গত দু’ সপ্তাহ ধরে তিনি বাড়ি ছেড়ে আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছেন। বুধবার ওই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেয় বিজেপি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “তদন্ত চলছে।”

ওই মহিলা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের ৫ জুন তাঁর আত্মীয়া এক তরুণীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়। ওই ঘটনায় তিন অভিযুক্তের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাদের পুলিশ গ্রেফতারও করে। ছ’মাস জেলে থাকার পরে তাঁরা জামিনে ছাড়া পায়। এর পর থেকেই নানা ভাবে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ওই মহিলাকে ভয় দেখাতে শুরু করে। তিনি বলেন, “ওই মামলায় প্রধান সাক্ষী ছিলাম আমি। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার সময়ও আমি পুলিশের সঙ্গে ছিলাম। তাই আমাকে সেই সময়েই তাঁরা দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আর জামিন পাওয়ার পরেই সেই কাজ শুরু করে তাঁরা।”

তাঁর দাবি, এলাকার বাসিন্দা এক সিভিক ভলান্টিয়ার্সকে কাজে লাগিয়ে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্তরা রাস্তায় তো বটেই বাড়ির ভিতরে ঢুকেও তাঁকে মামলা না তোলা হলে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। তিনি ইতিমধ্যে একাধিকবার বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন। অভিযোগও দায়ের করেছেন। তাতেও অভিযুক্তরা থেমে থাকেনি।

পেশায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ওই মহিলা জানান, গত ৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর স্বামীর অনুপস্থিতিতে এক দুষ্কৃতী বাড়িতে চড়াও হয়। তারপর থেকে তিনি বাড়ি ছেড়ে আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছেন। ওই মহিলার এক ছেলে শিলিগুড়িতে চাকরি করেন। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, “ভয়ে বাইরে আছি। কর্মস্থলে যেতে ভয় করছে।” তাঁর দাবি, অভিযুক্তদের পেছনে তৃণমূলের একটি অংশ রয়েছে। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিল রঞ্জন দে বলেন, “ওই মহিলা যাতে নির্ভয়ে চলাফেরা করতে পারেন তা পুলিশ ও প্রশাসনের দেখা উচিত। সে দাবিই আমরা করেছি।” তৃণমূলের কোচবিহার ১ নম্বর ব্লক সভাপতি খোকন মিয়াঁ বলেন, “রাজনীতি করার জন্য তৃণমূলের নাম জড়াচ্ছে বিজেপি। ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। আর কেউ অপরাধ করলে তাঁর জন্য আইন, প্রশাসন রয়েছে। ঘটনার তদন্ত পুলিশ করছে। সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে আসবে।”

Rape Woman Threatened Accused Of Raping
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy