বাগানের আম পাড়তে নিষেধ করায় এক মহিলাকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল তার এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।
বুধবার সন্ধে ৬টা নাগাদ মালদহের ইংরেজবাজার থানার মহদিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বারোদুয়ারি গ্রামের ঘটনা। আক্রান্ত মহিলা গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার সকালে থানাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত মহিলার পরিবারের লোকেরা। পুলিশ অভিযুক্ত ওই প্রতিবেশী বুড়ো ঘোষকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
মরসুমের তিন মাস চুরি রুখতে জেলার আম বাগান গুলিতে নজরদার নিয়োগ করেন মালিকেরা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্থানীয়দেরই বাগান নজরদারের কাজে রাখা হয়। ইংরেজবাজার থানার মহদিপুর গ্রামপঞ্চায়েতের বারোদুয়ারি গ্রামের বাসিন্দা আক্রান্ত ওই মহিলার স্বামী চার বিঘা আমের বাগান লিজ নেন। তিনি নিজেই বাগান নজরদারের কাজ করেন। ওই দিন সন্ধে বেলা তিনি বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই সময় বাগানে ছিলেন ওই মহিলা।
অভিযোগ, গ্রামের এক ব্যক্তি বুড়ো বাগানে গরু চড়াচ্ছিলেন। গাছ থেকে আম পেড়ে গরুকে খাওয়াচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। ওই মহিলা প্রতিবাদ করলে প্রথমে তাঁকে গালিগালাজ করা হয়। এমনকী, হাঁসুয়া দিয়ে মহিলার মাথায় কোপও মারা হয়। মহিলার চিৎকারে বাগানের অন্য জোগানদারেরা ছুটে গেলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়।
তারপরই রক্তাক্ত অবস্থায় ওই মহিলাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আক্রান্ত মহিলা বলেন, ওই প্রতিবেশীকে গাছ থেকে আম পাড়তে নিষেধ করা হয়েছিল। তার পরেও তিনি গাছ থেকে আম পেড়ে গরুকে খাওয়াচ্ছিলেন। বাধা দিতে গেলে তাঁর উপরে হামলা চালানো হয়। আক্রান্ত মহিলার স্বামী ইংরেজবাজাবার থানাতে অভিযুক্তর নামে অভিযোগ করেছেন।
এ দিকে, আমের মরসুমে চুরি রুখতে পুলিশের বাড়তি টহলদারির দাবি তুলেছেন মালদহের আম ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক উজ্জ্বল চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিটি বাগানে জোগানদার রাখি ঠিকই। তবে পুলিশ টহলদারি চালালে এমন ঘটনা এড়ানো যাবে।’’ মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আর দাবিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy