—প্রতীকী চিত্র।
পণের টাকা না পাওয়ায় এক বধূকে পিটিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ওই বধূকে খুনের অভিযোগে সোমবার সকালে মৃতার জাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সাহেবা খাতুন। তাঁর বাড়ি রায়গঞ্জ থানার শীতগ্রাম এলাকায়। মৃতার নাম দুখুনি খাতুন (২৬)। এ দিন ওই বধূর দেহ রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
রায়গঞ্জ থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাসের দাবি, খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত মৃতার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও তিন দেওড় পালিয়ে গিয়েছেন। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
এ দিন সকালে শীতগ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সভাপতি ইকতেকার আলিকে সঙ্গে নিয়ে মৃতার মা মেহেরুন বেওয়া রায়গঞ্জ থানায় গিয়ে দুখুনির স্বামী হাসিবুল মহম্মদ, জা সাহেবা খাতুন, শ্বশুর চানো মহম্মদ, শাশুড়ী রুবি খাতুন ও তিন দেওড় হাসু মহম্মদ, রমজান মহম্মদ ও আনিস মহম্মদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইকতেকার বলেন, ‘‘পণের টাকা চেয়ে দীর্ঘ দিন ধরে অভিযুক্তরা দুখুনির উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছিলেন। প্রতিবেশীরা অভিযুক্তদের বার বার সতর্ক করলেও কোনও লাভ হয়নি।’’
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার বিকেলে দুখুনিকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অচেতন ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পরেই সাহেবা বাদে বাকি অভিযুক্তরা উধাও হয়ে যান।
প্রায় ছ’বছর আগে দুখুনির সঙ্গে প্রতিবেশী পেশায় দিনমজুর হাসিবুলের বিয়ে হয়। তাঁদের চার ও দু’বছর বয়সী এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মৃতার ভাই মনুয়ার আলির অভিযোগ, দুখুনির দু’টি সন্তান হওয়ার পর থেকেই বাপের বাড়ি থেকে মোটা টাকা আনার দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘‘টাকা না পাওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা দিদিকে ঠিক মতো খেতে দিতেন না। দিদি বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে অস্বীকার করায় ওই দিন শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে খুন করেছে।’’ যদিও ধৃত সাহেবা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। ওই বধূ কোনও ভাবে আত্মহত্যা করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy