মাথাভাঙা ও গোপালপুরের নির্যাতিতা কিশোরী ও তার পরিজনদের সঙ্গে দেখা করল সিপিএমের গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির এক প্রতিনিধি দল। রবিবার দুপুরে সংগঠনের জেলা নেত্রী শিখা আদিত্যের নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধি দলটি মাথাভাঙার বেলেরডাঙা গ্রামে যায়। সেখানে নির্যাতিতা কিশোরীর সঙ্গে দেখা করেন তারা। পাশাপাশি আত্মঘাতী কিশোরীর বাড়িতে গিয়েও খোঁজখবর নেন। সন্ধ্যায় প্রতিনিধি দলটি কোচবিহার জেলা হাসপাতালে গিয়ে গোপালপুরের নির্যাতিতা স্কুল ছাত্রীর খোঁজ নেন। আজ সোমবার ওই দুটি ঘটনার ব্যাপারেই কোচবিহারের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির কোচবিহার জেলা সম্পাদিকা শিখা আদিত্য বলেন, “জেলায় পরপর এমন ঘটনা মারাত্মক উদ্বেগের ব্যাপার। তার ওপর মাথাভাঙায় নির্যাতিতাদের পরিবারের লোকদের ঘটনার ব্যাপারে বেশি নাড়াঘাঁটা না করার জন্য কিছু লোক চাপ দিচ্ছেন বলেও শুনেছি। সমস্ত বিষয় নিয়েই আমরা জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলব। দোষীদের শাস্তির পাশাপাশি নির্যাতিতাদের পরিবারের নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করার দাবিও জানান হবে।”
কালীপুজোর রাতে মাথাভাঙার বেলেরডাঙা গ্রামে গ্রামের দুই কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে এলাকার দুই যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর তাদের একজন গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। অন্যজন কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। অন্যদিকে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার গোপালপুরে ৩১ অক্টোবর দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। মাথাভাঙার নির্যাতিতাদের পরিজনদের ওপর চাপ তৈরির অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়ে যায়। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy