Advertisement
E-Paper

মানসকে নিয়ে তরজা বিজেপি-তৃণমূলের

শিশু-পাচার কাণ্ডে এ বার তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শানাল বিজেপি।জলপাইগুড়ির হোম থেকে শিশু পাচারের অভিযোগে বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরীর নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে লাগাতার বিক্ষোভ করছিল তৃণমূল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৫৫
আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মানস ভৌমিককে। নিজস্ব চিত্র

আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মানস ভৌমিককে। নিজস্ব চিত্র

শিশু-পাচার কাণ্ডে এ বার তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শানাল বিজেপি।

জলপাইগুড়ির হোম থেকে শিশু পাচারের অভিযোগে বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরীর নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে লাগাতার বিক্ষোভ করছিল তৃণমূল। হোমের কর্ণধার চন্দনা চক্রবর্তী গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই আর খোঁজ মিলছে না জুহির। সিআইডি তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও করেছে। তবে বৃহস্পতিবার চন্দনার ভাই মানস ভৌমিক গ্রেফতার হওয়ার পরেই তাঁকে তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করে তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিজেপি।

কালচিনিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুষ্ঠান মঞ্চে থাকা মানসের একটি ছবি শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই সুর চড়িয়েছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, শিশু-পাচার কাণ্ডে তদন্তের ভার সিবিআইকে দেওয়া হোক। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা সিআইডি কী ভাবে তার রাজনৈতিক প্রভুর বিরুদ্ধে তদন্ত করবে?’’

তবে মানসের তৃণমূল-যোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। মুখ্যমন্ত্রী ও মানসের সঙ্গে ছবিটিতে তাঁকেও দেখা যাচ্ছে। গৌতমবাবু বলেন, ‘‘যাঁর কথা বলা হচ্ছে তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। যত দূর জানি উনি টিভি-রেডিওতে সঞ্চালনার কাজ করেন। সেই কারণেই হয়তো তিনি মঞ্চে ছিলেন।’’ মানসকে তাঁদের দলের কর্মী বলে মানতে চাননি জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তি বাম আমল থেকেই নানা অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন ও যখন যারা ক্ষমতায় থাকে তাদের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করেন’’ সৌরভের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘যাঁরা এ সব কথা বলছেন তাঁরা ওই ব্যক্তির তৃণমূল-যোগের প্রমাণ দিন।’’

তবে শিশু পাচার কাণ্ডে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের বিক্ষোভ-আন্দোলন অব্যাহত। এ দিন দুপুরেও জলপাইগুড়ির অসম মোড়ের কাছে জুহির বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল যুব কংগ্রেস৷ ‘পালিয়ে না থেকে অবিলম্বে জেলে যাও’, এই দাবি তুলে তারা জুহির বাড়ির ভেতরেও ঢোকার চেষ্টা করে৷ তবে পুলিশ তাদের বাড়ির গেটেই আটকে দেয়৷ এ দিন থানা থেকে কোর্টে যাওয়ার মুখে তৃণমূল বিক্ষোভ দেখায় চন্দনার ভাই মানস ভৌমিককেও৷ ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর পর এ দিন দুপুরে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানা থেকে মানসকে আদালতে নিয়ে যায় সিআইডি৷ তার আগে মানস দাবি করেন, “আমি নির্দোষ৷ দিদি অন্যায় করেছে বলেই যে আমিও করেছি, তা তো নয়৷ আইনের প্রতি আমার ভরসা রয়েছে৷” এ দিন আদালত মানসের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তাকে শিলিগুড়ি নিয়ে গিয়ে দিদি চন্দনার সঙ্গে বসিয়ে জেরা করা হবে।

TMC BJP Child trafficking
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy