Advertisement
E-Paper

মজুরি মিলবে কবে, ধন্দে শ্রমিকরা

মাসখানেক ধরে বেতন নেই। মারমুখী মেজাজে ব্যাঙ্কে ঢুকে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন চা শ্রমিকরা। ফলে থমকে যায় কাজকর্ম। ব্যাঙ্কের তরফে যোগাযোগ করা হয় প্রশাসনের সঙ্গে। খবর পেয়ে পৌঁছে যান বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। শ্রমিকদের বুঝিয়ে সামাল দেন পরিস্থিতি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৬ ০২:১২
চা শ্রমিকদের অবস্থান বিক্ষোভে বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। আলিপুরদুয়ারে। ছবি: নারায়ণ দে

চা শ্রমিকদের অবস্থান বিক্ষোভে বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। আলিপুরদুয়ারে। ছবি: নারায়ণ দে

মাসখানেক ধরে বেতন নেই। মারমুখী মেজাজে ব্যাঙ্কে ঢুকে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন চা শ্রমিকরা। ফলে থমকে যায় কাজকর্ম। ব্যাঙ্কের তরফে যোগাযোগ করা হয় প্রশাসনের সঙ্গে। খবর পেয়ে পৌঁছে যান বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। শ্রমিকদের বুঝিয়ে সামাল দেন পরিস্থিতি। ব্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনায় বের হয় সমাধানসূত্রও। মঙ্গলবার দুপুরে আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবরির ঘটনা।

বেতন না পেয়ে এ দিন দুপুরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ওই শাখায় ঢুকে বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন মাঝেরডাবরি চা বাগানের প্রায় ছ’শো শ্রমিক। অভিযোগ, আলিপুরদুয়ার জেলার অধিকাংশ চাবাগানের মজুরি দেওয়া শুরু হলেও মাঝেরডাবরি চা বাগানে মজুরি দিতে অস্বীকার করছিল এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে তাতে পুরো মজুরি পাঠাতে দিন কয়েক সময় লাগবে। এরপরেই ক্ষোভ তৈরি হয় চা শ্রমিকদের। চা শ্রমিক ফিরদা তিরকি, নিরুবালা গোপরা বলেন, ‘‘প্রায় একমাস ধরে মজুরি পাইনি। কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েও মজুরি দেয়নি। বাধ্য হয়ে এ দিন ব্যাঙ্কে গিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করি।’’ পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠার আশঙ্কায় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। বিধায়ক তথা এসজেডিএর চেয়ারম্যান সৌরভবাবু খবর পেয়ে ব্যাঙ্কে এসে শ্রমিকদের বুঝিয়ে বাইরে বার করে নিয়ে আসেন। তাঁর উপস্থিতিতে প্রায় দু’ ঘণ্টা ধরে ব্যাঙ্কের বাইরে অবস্থান চলে।

বিধায়ক সৌরভবাবু বলেন, ‘‘কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির ফলে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তার ওপর মাঝেরডাবরি চা বাগান কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার বিষয় চিন্তা না করে নিজেদের দায় ঝেড়ে ফেলায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। এ দিনের আলোচনায় সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।” এত দিন চা বাগান কর্তৃপক্ষ কেন সমস্যার সমাধান করতে পারেনি তা নিয়ে ক্ষোভ জানান বিধায়কও। এ দিন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা চা বাগান কর্তৃপক্ষকে বলেন, ‘‘সাত থেকে আটটি কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে নিয়ে শ্রমিকদের আপাতত কিছু অগ্রিম দেওয়া হোক।’’ বিষয়টি নিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ও চাবাগান কর্তৃপক্ষ সহমত হন। আগামী সপ্তাহে শ্রমিকদের কিছু টাকা দেওয়া হবে। ততদিনে শ্রমিকদের নিজস্ব অ্যাকাউন্ট হলে তাতে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ মজুরি দিয়ে দেবে। টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সাধারণ সম্পাদক রাম অবতার শর্মা জানান সৌরভ চক্রবর্তী উদ্যোগ নিয়ে সমস্যা সমাধান করেছেন।

এত দিন উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিকদের কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল না। নগদেই মজুরি পেতেন তাঁরা। নতুন ব্যবস্থায় চা শ্রমিকদের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ চলছে জোরকদমে।

tea garden wokers wages Demonetisation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy