ঝগড়া করে দাদার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলেন ভাই। এক দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে মৃত্যু হল দাদার। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের বটতলা গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বটতলা গ্রামের বাসিন্দা ৫৪ বছরের যতন কোল পরিযায়ী শ্রমিক। দু’দিন আগেই তিনি কর্মক্ষেত্র থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন। অবিবাহিত যতনের সঙ্গে সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে বিবাদ বাধে নন্দন কোলের। রবিবার দুই ভাইয়ের কোন্দল এমন জায়গায় পৌঁছোয় যে, প্রতিবেশীরা ছুটে যান। তখনকার মতো ঝগড়া থামে। কিন্তু রাতে আবার শুরু হয় গন্ডগোল।
পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার রাতে মদ্যপান করে বাড়ি ফেরেন নন্দন। সেই সময় যতন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন। অভিযোগ, ওই সুযোগে দাদার সারা গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন নন্দন। যতনের চিৎকার শুনে গ্রামের লোকজন ছুটে যান। কোনও রকমে আগুন নিবিয়ে তাঁকে তড়িঘড়ি মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। মৃত্যু হয় প্রৌঢ়ের।
যতনের দিদি জলি কর্মকার ভাইকে খুনের অভিযোগে তাঁর আর এক ভাই নন্দনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতে নন্দনকে গ্রেফতার করেছে মালদহ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁকে মালদহ জেলা আদালতে হাজির করানো হয়েছে।
আদালতে যাওয়ার পথে ধৃত বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে টাকাপয়সা নিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল। অনেকদিন ধরে আমাকে খুব জ্বালাচ্ছিল। আমার কাছে সবসময় টাকাপয়সা চাইত। রবিবারও আমার কাছে টাকা চাইছিল। আমি ওকে জানিয়ে দিই, এখন কোনও টাকা দেব না।’’ তাঁর দাবি, রবিবার সন্ধ্যায় দাদা মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে তাঁর সঙ্গে ঝগড়া করেন। যুবকের স্বীকারোক্তি, ‘‘ রাতে ও যখন শুয়েছিল, আমি ওর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিই। গাড়ির জন্য পেট্রল এনে রাখা ছিল বাড়িতে।’’