চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে এক কিশোর আত্মহত্যা করল বলে অভিযোগ উঠেছে জলপাইগুড়ি শহরে। বাড়ির রান্নাঘর থেকে নবম শ্রেণির ওই স্কুল ছাত্র আকাশ মণ্ডলের (১৪) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তার বাড়ি জলপাইগুড়ি শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের নয়া বস্তি এলাকায়। আকাশ মাসির বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করত বলে জানা গিয়েছে।
আকাশের মাসি দুর্গা দাস বলেন, ‘‘এ দিন সকালে বাড়িতে কেউ ছিল না। সেই সুযোগে আকাশ রান্নাঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্বহত্যা করে।’’ মা ও বাবা ছোটবেলাতে মারা যায়। আকাশ তারপর মাসির বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত। মহালয়ার ভোর রাতে মাসি দরজা খুলে দেয়। মহালয়ার অনুষ্ঠানও দেখেন সকলে।
সেই সময় তারই মেসোমশায় কৃষ্ণ দাসের পকেট থেকে চার হাজার টাকা চুরি যায়। সন্দেহ গিয়ে পড়ে আকাশের উপরে। কৃষ্ণবাবু দশকর্মা ভাণ্ডারের ব্যবসা করেন। তিনি জানান, তাঁর ব্যবসার টাকাই আকাশ নিয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এরপর আকাশকে টাকা ফিরিয়ে দেবার জন্য চাপ দেন পরিবারের সকলে। দু’হাজার টাকা ফিরিয়েও দেয় সে। বাকি টাকা ফিরিয়ে দেয়নি। এই ঘটনা কেন্দ্র করে আকাশকে বকাবকি করে পরিবারের বাকিরা। সেই অপমান ও বকাবকি সহ্য করতে না পেরে রান্নাঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ। তার মাসি বলেন, “সামান্য বকাঝকা হয়েছে। সে তো সকলকেই করা হয়। এমন কাণ্ড কেন ঘটাল, কে জানে! ’’
তবে প্রশ্ন উঠেছে, যদি সত্যিই আকাশ চুরি করবে, তা হলে সে অপমানের মুখে পড়েও বাকি টাকা ফেরত দিল না কেন?
জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানায় আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন, ‘‘এক স্কুল ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কী কারণে এই ঘটনা, আমরা তদন্ত করে দেখছি।’’