Advertisement
E-Paper

অ্যাপ্রোচ রোডের জমি কিনবে রাজ্য

নির্মীয়মাণ দুটি সেতুর সংযোগকারী রাস্তা তৈরির জন্য বাসিন্দাদের কাছ থেকে সরাসরি জমি কিনতে উদ্যোগী হয়েছে পূর্ত দফতর। জেলার দিনহাটায় সিঙিমারি নদী ও তুফানগঞ্জে কালজানি নদীর ওপর সেতুর সংযোগকারী রাস্তা তৈরির জন্য ১২৫ একর জমি জরুরি। গত সপ্তাহে কোচবিহারে এসে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে ওই দুটি সেতু তৈরির কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন রাজ্যে পূর্ত দফতরের প্রধান সচিব ইন্দিবর পান্ডে-সহ পদস্থ কর্তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৪ ০২:০০

নির্মীয়মাণ দুটি সেতুর সংযোগকারী রাস্তা তৈরির জন্য বাসিন্দাদের কাছ থেকে সরাসরি জমি কিনতে উদ্যোগী হয়েছে পূর্ত দফতর। জেলার দিনহাটায় সিঙিমারি নদী ও তুফানগঞ্জে কালজানি নদীর ওপর সেতুর সংযোগকারী রাস্তা তৈরির জন্য ১২৫ একর জমি জরুরি। গত সপ্তাহে কোচবিহারে এসে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে ওই দুটি সেতু তৈরির কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন রাজ্যে পূর্ত দফতরের প্রধান সচিব ইন্দিবর পান্ডে-সহ পদস্থ কর্তারা। রাজ্যের পূর্ত দফতরের প্রধান সচিব ইন্দিবর পান্ডে বলেন, “আগামী এক বছরের মধ্যে দুটি সেতু লাগোয়া এলাকায় প্রয়োজনীয় জমির বন্দোবস্ত করা দরকার। সরাসরি বাসিন্দাদের কাছ থেকে ওই জমি কেনার কথা ভাবা হচ্ছে। বাসিন্দারা ওই ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহী। উপযুক্ত দাম দিয়ে জমি কেনার ক্ষেত্রে টাকা সমস্যা হবে না।”

পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার জমি অধিগ্রহণ নিয়ে নতুন আইন পাশ করেছে। কিন্তু কি ভাবে তা করা হবে সেই রূপরেখা এখনও স্পষ্ট নয়। নির্ধারিত সময়ের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সেতু চালু করতে আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে ওই জমির সংস্থান করা জরুরি। তাই সরাসরি জমি কেনা ছাড়া বিকল্প কোনও উপায় নেই। কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেছেন, “সরাসরি জমি কেনার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পূর্ত দফতর প্রস্তাব পাঠাবে।”

পূর্ত দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে দিনহাটা ও সিতাইয়ের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ চালু করতে সিঙিমারির ওপর সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়। আগামী ২০১৬ সালের মধ্যে সেতু চালুর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পিলার তৈরি হয়েছে। প্রায় ১ কিমি দীর্ঘ ওই সেতু চালু করতে দুই ধারে ৬৫ একর জমি দরকার। সেতু চালু হলে সিতাই থেকে দিনহাটা সড়কে সরাসরি যাতায়াতের সুবিধে মিলবে। তাতে ঘুরপথে সড়ক যোগাযোগের দূরত্ব ১০০ কিমি থেকে কমে ২০ কিমিতে দাঁড়াবে।

কালজানি নদীর জন্য তুফানগঞ্জ মহকুমা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে বলরামপুর এলাকা। ২০১৫ সালের মধ্যে ওই সেতু চালুর লক্ষ্যমাত্রা মাথায় রেখে কাজ চলছে। এ জন্য ৬০ একর জমি দরকার। সেতুটি চালু হয়ে গেলে বলরামপুরের বাসিন্দাদের সড়ক পথে ঘুরে ঘুরে গিয়ে মহকুমা সদর তুফানগঞ্জ যাতায়াতে ভোগান্তি ও দূরত্ব ৩০ কিমি কমবে। এখন যা ৫০ কিলোমিটার।

koch bihar approach road municipal corporation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy