পঞ্চায়েতে ক্ষমতাসীন সিপিএম-তৃণমূল-বিজেপি বোর্ডের বিরুদ্ধে বুধবার দুপুরে অনাস্থা এনেছিল কংগ্রেস। তার পরেই ওই চাঁচল পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা নারায়ণ রায় থানায় অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলে রঞ্জনকে অপহরণ করেছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য। এর পরে থানায় গিয়ে ‘অপহৃত’ রঞ্জনই পাল্টা অভিযোগ করলেন, তাঁর স্ত্রী, তৃণমূলের সান্ত্বনা রায়কে অপহরণ করেছেন কংগ্রেসের তিন সদস্য।
এ দিন দুপুরে চাঁচল পঞ্চায়েতের ক্ষমতাসীন সিপিএম-বিজেপি-তৃণমূল বোর্ডের বিরুদ্ধে বিডিওর কাছে লিখিতভাবে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন কংগ্রেসের ১১ জন সদস্য। ওই পঞ্চায়েতের ২৩টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের ১১টি, বামেদের ৮টি, বিজেপির ২টি ও তৃণমূলের ২টি আসন রয়েছে। প্রধান হন বিজেপির আদর্শ রাম ও উপপ্রধান হন তৃণমূলের আবেদ হোসেন। এই মুহূর্তে ওই পঞ্চায়েতে অনাস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য কংগ্রেসের আরও একটি আসন প্রয়োজন। অনাস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখতে হলে ক্ষমতাসীন বোর্ডেরও সব সদস্যদের ধরে রাখতে হবে অন্য পক্ষকে।
বুধবার দুপুরে অনাস্থা পেশ হওয়ার পরেই নারায়ণ রায়, তাঁর ছেলে রঞ্জন রায়কে অপহরণ করার অভিযোগ তোলেন পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি প্রধান আদর্শ রাম, সিপিএম সদস্য অমিতেশ পাণ্ডে-সহ তিন জন ছেলেকে অপহরণ করেছেন। তারপরে দুপুরেই রঞ্জনবাবু তাঁর স্ত্রী সান্ত্বনা রায়কে কংগ্রেসের তিন সদস্য আমজাদ, ঠাকুর মুর্মু ও উত্পল তালুকদার অপহরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেন। ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি মজিবর রহমানের বক্তব্য, “তৃণমূল সদস্যার স্বামীকে অপহরণ করা হলে, তিনি থানায় গিয়ে অভিযোগ জানালেন কীভাবে? কংগ্রেস আমাদের সদস্যাকে অপহরণ করেছে।” বিজেপি প্রধান আদর্শ রাম ও সিপিএম সদস্য অমিতেশ পাণ্ডেরও বক্তব্য, “সান্ত্বনাদেবীর শ্বশুরকে চাপ দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ করানো হয়েছে।” উল্টো দিকে, চাঁচল-১ ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি ইন্দ্রনারায়ণ মজুুমদারের দাবি, “সান্ত্বনা কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তাঁকে দলে ফেরানোর জন্য চাপ দিতেই তাঁর স্বামীকে অপহরণ করা হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy