ডুয়ার্সের নাগরাকাটার একলব্য স্কুলে অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে চলা আন্দোলনের জেরে মঙ্গলবারেও পঠনপাঠন পুরোপুরি ব্যহত হয়। এদিন একলব্য স্কুলের আবাসিক পড়ুয়াদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করতে যান জেলাশাসক পৃথা সরকার, মালবাজারের মহকুমাশাসক থেকে শুরু করে রাজ্যের পরিষদীয় সচিব উইলসন চম্প্রামারি। পড়ুয়ারা স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে আবাসিকেরা ভিতর থেকেই জানিয়ে দেয়, অধ্যক্ষকে সরানো হলেই বিক্ষোভ উঠবে। দাবি না মানলে অনশন শুরুর হুমকি দেয়। রাত আটটা নাগাদ পুলিশ নিয়ে তালা ভেঙে হস্টেলে ঢোকেন জেলাশাসক। রাত অবধি জেলাশাসক বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে গেলেও সমস্যা মেটেনি। এ দিন জেলাশাসক কোনও মন্তব্য করেননি।
উল্লেখ্য, অধ্যক্ষ মাঝেমধ্যেই বেধড়ক মারধর এবং গালাগালি দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ তুলে একলব্যের পড়ুয়ারা অধ্যক্ষকে সরানোর দাবি তোলে। গত শনিবারে তিনজন অভিভাবক নাগরাকাটা থানায় ছেলেদের মারধরের লিখিত অভিযোগও করেন। সোমবার এই দাবিতে নাগরাকাটা বিডিওর দফতরে পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখায়। স্কুলের অধ্যক্ষ সেনাবাহিনীর প্রাক্তন মেজর অমরজিৎ সিংহ চৌহান বলেন, “স্কুলের কয়েকজন শিক্ষকের ষড়যন্ত্রে স্কুলে অশান্তি ছড়ায়। উচ্চমাধ্যমিকের আগে দুই দিন স্কুলের পঠনপাঠন না হওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক।” ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা নেতা জন বারলাও মঙ্গলবারে স্কুলের সামনে আসেন। তাঁর ছেলেও একলব্য স্কুলেরই ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। বারলা এ দিন অধ্যক্ষের দ্রুত অপসারণ দাবি করেন। তিনি বলেন, “সামরিক কায়দায় শিশু কিশোরদের ওপর অত্যাচার বরদাস্ত করব না। প্রশাসন অধ্যক্ষকে না সরালে আমরা আন্দোলন করব।” ছাত্রছাত্রীরা দাবি পূরণ না হলে অনশন শুরু করবে বলেও হুমকি দেওয়ায় চিন্তিত প্রশাসন। নাগরাকাটা বিডিওর দফতরে ৬টা অবধি বৈঠকে করেন মহকুমাশাসক জ্যোতির্ময় তাঁতি। ছিলেন উইলসন চম্প্রামারিও। তিনি জানান, স্কুলের স্বার্থে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে প্রশাসনকে আর্জি জানিয়েছি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy