Advertisement
E-Paper

অশ্লীল চিঠি দিয়ে গ্রেফতার বাস্তুকার

পাড়ার এক মহিলাকে অশ্লীল চিঠি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন সেচ দফতরের এক বাস্তুকার। শুক্রবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার তাঁকে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হলে তাঁর জামিন মঞ্জুরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিযুক্তের আইনজীবী দীপ্তিমান মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমার মক্কেল জ্ঞানব্রতবাবুকে এদিন আদালতে পেশ করা হলে তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়েছে।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৪ ০২:৫৫

পাড়ার এক মহিলাকে অশ্লীল চিঠি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন সেচ দফতরের এক বাস্তুকার। শুক্রবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার তাঁকে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হলে তাঁর জামিন মঞ্জুরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিযুক্তের আইনজীবী দীপ্তিমান মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমার মক্কেল জ্ঞানব্রতবাবুকে এদিন আদালতে পেশ করা হলে তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়েছে।” আদালতের বাইরে মামলাটি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

শিলিগুড়ি পুলিশের এডিসি কে সাভারি রাজকুমার বলেন, “ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পেশ করা হয়েছে।”

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোর বেলা বাড়ির দরজা খুলে মাঝে মধ্যেই অশ্লীল চিঠি পেতেন এক মহিলা। কখনও তাঁর মেয়ের নামে। কখনও নিজের নামে। স্বামীর মৃত্যুর পরে দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে তাঁর সংসার। ফলে, উড়ো চিঠির আতঙ্কে ছিলেন। গত চার বছর ধরে এমন চলছিল। হিতাকাঙ্খীদের পরামর্শে সপ্তাহখানেক আগে বাড়ির গেটে লাগিয়ে দেন ক্লোজ়ড সার্কিট ক্যামেরা। তাতেই ফল মিলল। শুক্রবার সকালে ক্যামেরায় ধরা পড়ল ওই পত্রপ্রেরক। ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, এক ভদ্রলোক হাত বাড়িয়ে গেটের ফাঁক গলিয়ে চিঠি ফেলছেন। ফেলার পরে এদিক ওদিক দেখে চলে যাওয়ার ছবি দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়, পত্রপ্রেরক দুটি বাড়ির পরের বাসিন্দা। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ভিডিও ফুটেজ দেখে ওই ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করে। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির দেশবন্ধুপাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের নাম জ্ঞানব্রত ঘোষাল। তিনি সেচ দফতরের বাস্তুকার। পুলিশের দাবি, ধৃত, জেরায় দোষ কবুল করেছে। কিন্তু ধৃতের স্ত্রী থানায় দাঁড়িয়ে বলেন, এটা একেবারেই বানানো ঘটনা। ভিডিও ফুটেজ দেখলেই বোঝা যাবে ওইটি আমার স্বামী নয়।”

শুক্রবার থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে অভিযোগকারী মহিলা মাথা ঘুরে পড়ে যান। তাঁকে তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবশ্য তিনি সুস্থ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগকারী মহিলা বলেন, “দোষীর শাস্তি চাইছি।” অপরাধীর শাস্তি চাইছেন ওই মহিলার আত্মীয় ও প্রতিবেশীরাও। প্রতিবেশী মল্লার সুর চৌধুরী বলেন, “দীর্ঘদিন থেকেই এই ঘটনা ঘটছে। এর কোনও ক্ষমা নেই। পাড়ায় আরও মহিলারা রয়েছে।” তবে অভিযুক্তেরও একটি মেয়ে রয়েছে বলে অনেকেই এতটা কড়া না হতে পরামর্শ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বাস্তুকারের কয়েক মাস পরেই অবসর নেওয়ার কথা। এর আগে বিভিন্ন জায়গায় বদলি হয়ে বর্তমানে শিলিগুড়ির দফতরের শিবমন্দির কার্যালয়ে কর্মরত।

siliguri vulgar letter arrested
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy