মালদহ নিয়ন্ত্রিত বাজারে এসেছে এমনই আম। নিজস্ব চিত্র।
গাছের আম পাকতে এখনও ৭-১০ দিন বাকি। কিন্তু তার আগেই জেলার কিছু আম ব্যবসায়ীরা জামাইষষ্ঠীর বাজার ধরতে সোমবার থেকে গোপালভোগ, লক্ষণভোগ আম গাছ থেকে পেড়ে বাজারে বিক্রি করা শুরু করেছেন। আর এর ফলেই উদ্বিগ্ন জেলা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতরের আধিকারিকেরা। তাঁদের আশঙ্কা, পুরোপুরি না পাকা আম বাইরে গেলে মালদহের আমের বদনাম হতে পারে।
দফতরের জেলার উপ অধিকর্তা প্রিয়রঞ্জন সানিগ্রাহি বলেন, “জামাইষষ্ঠীর কয়েকদিন পর থেকে মালদহের গোপালভোগ আম বাজারে নামার কথা। তারও সাত-আটদিন পর লক্ষণভোগ আম বাজারে নামবে। যেভাবে তড়িঘড়ি করে পরিণত হওয়ার আগেই গোপালভোগ ও লক্ষণভোগ আম পাড়া হচ্ছে, তাতে জেলার আমের বদনাম হবে।” তিনি জানান, গোপালভোগ কিংবা লক্ষণভোগ ভালভাবে পাকেনি। এই আম জেলার বাইরে গেলে মালদহের আমের সুনাম নষ্ট হতে পারে।
মঙ্গলবার সকালেও ইংরেজবাজার নিয়ন্ত্রিত বাজারে দেদার গোপালভোগ ও লক্ষণভোগ বিক্রি হয়েছে। কোথাও আবার প্যাকিং চলছে। আমের আড়তদার যুগল ঘোষ বলেন, “এ বার মালদহের আমের অবস্থা খুবই খারাপ। গোপালভোগ প্রচন্ড গরমের পাশাপাশি বৃষ্টি না হওয়ায় আকারে ছোট হয়েছে। সেগুলিও বাজারে আসা শুরু হয়েছে। ২ হাজার টাকা কুইন্ট্যাল দরে বিক্রি হয়েছে। আরেক আড়তদার মহাদেব বিশ্বাস জানান, এক হাজার টাকা কুইন্ট্যাল লক্ষণভোগ আম বিক্রি হয়েছে। লক্ষণভোগ আমে এখনও পাকেনি। এ দিন কোতোয়ালি, অমৃতি থেকে প্রচুর লক্ষণভোগ এসেছে। খোলা বাজারে গোপালভোগ ৪০ টাকা এবং লক্ষণভোগ ৩০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হয়েছে।
মালদহ ম্যাঙ্গো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুবোধ মিশ্র বলেন, “জেলার কিছু আম ব্যবসায়ীর জন্য আজকে মালদহ জেলার আমের এই অবস্থা। একাংশ আম ব্যবসায়ী বেশি লাভের আশায় ওই আম পেড়ে নিয়েছেন। এতে আমের ক্ষতিই নয়, মালদহে আমের বাজার মার খাচ্ছে।” মহদিপুর, সাদুল্লাপুর এলাকার আম বাগানের মালিক শিবপ্রসাদ মাহাতো বলেন, “লক্ষণভোগ আম পরিণত হতে এখনও ১০-১৫ দিন সময় আছে। গোপালভোগ আম পাকতে আরও ৫-৬ দিন বাকি। বেশি লাভের আশায় ফড়েরা অপরিণত আম গাছ থেকে পেড়ে বাজারে বিক্রি করছেন।” তাঁর দাবি, “আমরা এর প্রতিবাদ করলেও লাভ হয় না।” ওই আম ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এমনিতেই এবার প্রতিকূল আবহওয়ায় জেলায় প্রচুর আম চাষ মার খেয়েছে। এখন গাছে আম আছে। হঠাৎ ঝড়, বৃষ্ঠিতে হলে ক্ষতিই ক্ষতি। সেই আশঙ্কায় এখনই আম পেড়ে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy