বেড়া ভেঙে ঘরে ঢুকে মুখে কাপড় পেঁচিয়ে এক আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হওয়ার তিন দিন পরেও তদন্তের অগ্রগতি না হওয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে বালুরঘাটে। গত সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ ওই মহিলার ঘরে দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ। বাড়িতে তখন মহিলা একাই ছিলেন। রাত ৩টে পর্যন্ত তাঁকে দুষ্কৃতীরা ধর্ষণ করে পালায়। ঘর অন্ধকার থাকায় মহিলা কাউকে চিনতে পারেননি। তবে দুষ্কৃতীরা মাঝেমধ্যে মোবাইল জ্বালাচ্ছিল বলে চেহারাগুলি আবছা দেখেছেন তিনি।
পুলিশ জানায়, মধ্য চল্লিশের ওই মহিলা বিধবা। নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন। ঘটনার পরে তিনি পড়শিদের সব জানান। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হলে অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ গণধর্ষণের মামলা রুজু করেছে। বালুরঘাট থানার আইসি বিপুল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, হাসপাতাল থেকে জানা গিয়েছে, ডাক্তারি পরীক্ষায় গণধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। পুলিশ সুপার শিসরাম ঝাঝারিয়া অবিলম্বে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন।
এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে জেলা আদিবাসী সমন্বয় কমিটি। বিরোধী মহিলা সংগঠনগুলি দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারের দাবি তুলেছে। জেলা পরিষদের তৃণমূল কর্মাধ্যক্ষ তথা দক্ষিণ দিনাজপুর আদিবাসী সমন্বয় কমিটির জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ পাহান বলেন, “অবিলম্বে দোষীরা গ্রেফতার না হলে আমাদের সংস্থা আন্দোলনে নামবে।” আরএসপি নেত্রী তথা বাম মহিলা সমিতির জেলা সম্পাদিকা সুচেতা বিশ্বাস বলেন, “বালুরঘাটের মতো শান্ত শহরেও যা ঘটছে তাতে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কথা উঠে আসছে।”
স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে ওই মহিলা শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি কলোনিতে থাকেন। তাঁর এক ছেলে বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন। বাড়ির মালিকের স্ত্রী জানান, তাঁরা সোমবার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন। বাড়ি ফাঁকাই ছিল। ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মদনমোহন কর্মকার বলেন, “পুলিশকে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy