খুনের মামলায় অভিযুক্তের মাথায় আদালত চত্বরে জুতো দিয়ে মারার অভিযোগে মৃতের স্ত্রী, মেয়ে, এক ভাগ্নেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার শিলিগুড়ি আদালত চত্বরে। প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে খুনের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তোলা হয়। শুনানির পর পুলিশ তার হাত ধরে কোর্ট লক আপে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সে সময় আচমকা মৃত গৌতম রায়ের স্ত্রী লক্ষ্মী দেবী, মেয়ে মান্টি রায় এবং ভাগ্নে পরিমল রায় আদালত চত্বরে পৌঁছয়। লক্ষ্মীদেবী পায়ের চটি খুলে এর পর অভিযুক্তের মাথায় মারে বলে অভিযোগ। মুহূর্তের এই ঘটনায় অনেকেই বিষয়টি আঁচ করতে পারেননি। পরে অন্য পুলিশ কর্মীরা এগিয়ে গিয়ে বাধা দেন। শিলিগুড়ি থানার পুলিশ সন্ধ্যার পর ব্যক্তিগত জামিনে তাঁদের ছাড়েন।
১৩ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিলেন পেশায় গাড়ির চালক গৌতম রায়। বাড়ি দক্ষিণ একতিয়াশাল এলাকায়। শিলিগুড়ি জংশন স্টেশন মোড়ে এক বেসরকারি ভ্রমণ সংস্থার মাধ্যমে নিজের গাড়ি ভাড়া দিতেন। পরিবারের তরফে প্রধাননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়, ১৩ মার্চ শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনের কাছে ওই সংস্থার মাধ্যমে ৩ জন গৌতমবাবুর গাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন। ভাড়া নেওয়ার সময় সঞ্জয় পাল নামে এক জন পরিচয়পত্রর প্রতিলিপিও দিয়েছিল। তা সঠিক কি না পুলিশ পরীক্ষা করছে। এ দিন যাকে আদালতে তোলা হয় ওই ব্যক্তি পরে গাড়িতে উঠেছিলেন। ২২ মার্চ নৈহাটি থেকে পুলিশ পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে। লক্ষ্মীদেবীর পরিচিত তাপসী চক্রবর্তী জানান, গৌতমবাবুর বাড়ির সদস্যরা মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত। তার জেরেই আদালত চত্বরে ঘটনাটি ঘটেছে। তবে পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে পারছে না কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy