বাইপাসের জমি আন্দোলনকে ঘিরে সামনে এল ‘কাকা ভাইপোর’ বিরোধ। কাকা রাজ্যের মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরী, ভাইপো জেলা তৃণমূল নেতা আলতামাস চৌধুরী। গত তিনদিন ধরে কৃষি জমি রক্ষা কমিটি গড়ে অধিক ক্ষতিপূরণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন আলতামাসবাবু। আর এই ঘটনায় মন্ত্রী তো বটেই,অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূলও। এমনকি, মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে অনুমতি ছাড়া মঞ্চ বেঁধে, মাইক বাজিয়ে আন্দোলন করায় মহকুমা শাসক পুলিশেও অভিযোগ করেছেন।
মঙ্গলবার আলতামাস চৌধুরী সাফ বললেন, “মন্ত্রী করিম চৌধুরী ২০০৭ সালে বাইপাসের এই জমি নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন। সেই সময় বামেদের সরকার ছিল। এখন মন্ত্রীত্ব হারানোর ভয়ে উনি কৃষকদের পাশে নেই। যতদিন সমস্যা না মিটছে, ততদিন আমি আন্দোলনকারীদের পাশে থাকব।” এদিকে এই দাবিতে সাত বছর আগে তিনি কোনও আন্দোলন করেননি বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, “ইসলামপুরের কৃষকেরা আন্দোলন করেছিলেন। প্রশাসনিক বৈঠকে আমি ক্ষতিপূরণের কথা বলেছিলাম। দাবি অনুযায়ী জমি দাতারা টাকাও পান। যাঁরা বাকি রয়েছেন তাঁরাও পেয়ে যাবেন। এতে আন্দোলনের কোনও বিষয় নেই। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই প্রত্যেককের বাইপাস তৈরির পক্ষে থাকা উচিত।”
তবে সোমবার পুলিশে অভিযোগ দায়েরের পরেও এদিনও মাইক বাজিয়ে আন্দোলন জারি ছিল। বিরোধীদের অনেকের অভিযোগ, তৃণমূল নেতাকে ধরার সাহস পুলিশের নেই। তাই মহকুমা শাসক অভিযোগ করার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মহকুমা শাসক ভিভু গোয়েল বলেন, “সোমবার দফতরের সামনে অস্থায়ী মঞ্চ ও মাইক বাজানোর বিরুদ্ধে ইসলামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। সম্প্রতি বিডিও অফিসে তালা ঝোলানোর বিষয়টিও সেখানে রয়েছে। তবে কারও নাম নেই। বিডিও অফিসে যাঁরা তালা দিয়েছিলেন তাঁদের সঙ্গে জমির আন্দোলনকারীদের মিল রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। পুরো বিষয়টি এখন পুলিশ দেখছে।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইসলামপুর বিডিও অফিস এবং বিএলআরও অফিসে আন্দোলন করতে গিয়ে তালা ঝোলানোর অভিযোগ উঠেছিল আলতামাস চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ইসলামপুরের এসডিপিও বৈভব তেওয়ারি বলেন, “অভিযোগ জমা পড়েছে। ঘটনাগুলি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” অনুমতি ছাড়া কর্মসূচি প্রসঙ্গে আলতামাসবাবুর দাবি, “অনুমতি চেয়েও পাইনি। মানুষের জন্য আন্দোলন করছি। মাইক ব্যবহার করলেও সীমা লঙ্ঘন করছিনা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy