শিলিগুড়ির কিরণচন্দ্র শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানোর সূচনায় গৌতম দেব।
বছর দেড়েক আগে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তরফে ৩ টি শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লির জন্য বরাদ্দ হয়েছিল প্রায় ৫০ কোটি টাকা। অর্থাৎ একেকটি চুল্লি বসাতে গড়ে খরচ ধরা হয়েছিল ১৭ কোটি টাকা। কোথাও সেই চুল্লি হয়নি। বেশির ভাগ টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে মামলা চলছে। এই অবস্থায় রবিবার শিলিগুড়ির কিরণচন্দ্র শ্মশানে প্রায় ৩ কোটি টাকায় আরেকটি বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানোর সূচনা হল। এদিন ওই কাজের শিলান্যাস করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “এই শ্মশানে আগেও চুল্লি স্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছিল পুরসভার পক্ষ থেকে। কিন্তু তারা করতে পারেনি। এবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর থেকে করা হচ্ছে।”
ঘটনাচক্রে, এখন এসজেডিএর চেয়ারম্যান হলেন গৌতমবাবুই। এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্যের আমলে বাগডোগরা, মালবাজার ও ময়নাগুড়ি শ্মশানে প্রায় ৫০ কোটি টাকা খরচ করে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানোর প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। তা নিয়ে অভিযোগ পৌঁছায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। রুদ্রনাথবাবুকে সরিয়ে গৌতমবাবুকে চেয়ারম্যান করা হয়।
শিলিগুড়ি কিরণচন্দ্র শ্মশান চত্বরে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর গাড়ি
ঘিরে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর। ছবিগুলি তুলেছেন বিশ্বরূপ বসাক।
স্বভাবতই আগের আমলে বরাদ্দে কারচুপির অভিযোগ ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে বলে মনে করছেন এসজেডিএর অনেকেই। যদিও গৌতমবাবুর সংক্ষিপ্ত মন্তব্য, “আমরা ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার মধ্যেই কাজটা শেষ করব। এর বেশি কিছু বলছি না।” শিলান্যাস করে ফেরার সময়, চুল্লি স্থাপনের বিরোধিতা করে এলাকাবাসী বিক্ষোভ দেখান মন্ত্রী গৌতম দেবকে। মন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীরা এলাকাবাসীকে নিরস্ত করে পরিস্থিতি সামাল দেন। ঘটনায় ক্ষুব্ধ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী হুঁশিয়ারি দেন, উন্নয়নের কাজে কেউ বাধা দিলে তা বরদাস্ত করা হবে না।” এ বিষয়ে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগ মোহনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। বিশেষ কোনও সমস্যা হয়নি।”
এই শ্মশানে একটি বৈদ্যুতিক চুল্লি রয়েছে। শহরবাসীর সুবিধার্থে আর একটি চুল্লির দাবি অনেকদিন ধরেই। পুর কর্তৃপক্ষ সেই কাজ করতে পারেননি। এলাকার এক বাসিন্দা আশুতোষ শাহ অভিযোগ করেন, “একটা চুল্লি থেকেই কালো ধোঁয়া ও ছাই বের হয়ে আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। ছাদের উপরে পুরু স্তর পড়ে যায়। আরেকটি চুল্লি হলে সমস্যা বাড়বে।” বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, নদীর দিকে চুল্লি হলে তাঁদের আপত্তি নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy