পুরসভার ওয়ার্ড ভিত্তিক আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ হতেই কোচবিহার জেলা তৃণমূলের মধ্যেই ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সোমবার কোচবিহার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চারটি পুরসভার আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রশাসন সূত্রের খবর, চলতি বছরেই জেলার চারটি পুরসভায় নির্বাচন হবে। কোচবিহার পুরসভা এ দিন ওই তালিকা হাতে পাওয়ার পর পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান দীপক ভট্টাচার্য অনিয়মের অভিযোগ তোলেন। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগও করবেন বলে জানিয়েছেন দীপকবাবু।
দীপকবাবু গতবার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছিলেন। ওই ওয়ার্ডটি এবারে মহিলা তফসিলি জনজাতির জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। তা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে তাঁর। তিনি দাবি করেন, “ওই ওয়ার্ডে তফসিলি জাতির ভোটারের সংখ্যা হাতে গোনা। কী ভাবে আসন সংরক্ষণ করা হল, তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। আগে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে আগাম কথা বলা হতো। এবারে হয়নি। আমাদের মনে হয়েছে, যে ওয়ার্ড সংরক্ষিত হওয়ার কথা ছিল, তা না হয়ে অন্য ওয়ার্ড সংরক্ষিত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানাব।”
তাঁর সঙ্গে সহমত তৃণমূলের আর এক কাউন্সিলর উজ্জ্বল তর। গতবার তিনি ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতেছিলেন। এবারে ওই ওয়ার্ডটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। শুধু ওই দু’টি নয়, ৫ নম্বর, ১২ এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। তাতে তৃণমূলের বর্তমান কাউন্সিলররা কেউ দাঁড়াতে পারবে না। ১০ নম্বর ওয়ার্ড তফসিলি জনজাতির জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে। ওই আসন থেকে এবারে প্রয়াত চেয়ারম্যান বীরেন কুণ্ডুর স্ত্রী রেবাদেবীকে দাঁড় করানোর দাবি তোলেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ।
তবে সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা কোচবিহার পুরসভার বিরোধী দলনেতা মহানন্দ সাহা। তিনি বলেন, “ওই তালিকা পেয়েছি। সরকারি নিয়ম মেনেই সব হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তার পরেও ভাল করে খতিয়ে দেখা হবে। শাসক দলের মধ্যে থেকেই কেন অনিয়মের অভিযোগ উঠছে, তা তাঁরাই বলতে পারবেন।” কোচবিহার সদর মহকুমাশাসক বিকাশ সাহা বলেন, “রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিগত ভাবে অভিযোগ জানানোর জন্য দু’সপ্তাহ সময় রয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy