রায়গঞ্জে ফিরলে স্টেশন চত্বরে সংবর্ধনা পুরস্কৃত চাষিদের।—নিজস্ব চিত্র।
কৃষি দফতরের পরামর্শে একাধিক পদ্ধতিতে চাষে সাফল্য পাওয়ায় উত্তর দিনাজপুর জেলা ফার্মাস ক্লাবকে পুরস্কৃত করল নাবার্ড। প্রায় ছয় মাস আগে নাবার্ডের এক প্রতিনিধি দল রাজ্যে ১৮টি জেলার কৃষি দফতরের কর্তাদের নিয়ে বিভিন্ন মরসুমি ফসলের চাষ পরিদর্শন করে। প্রতিনিধিরা চাষির সঙ্গে কথা বলেন।
কৃষি দফতর সূত্রের খবর, নার্বাডের বিচারে কৃষি দফতরের পরামর্শে একাধিক পদ্ধতিতে চাষ করে সাফল্যের দিক থেকে রাজ্যে প্রথম স্থান দখল করেছে উত্তর দিনাজপুর জেলা ফার্মাস ক্লাব। কৃষি দফতরের উদ্যোগে তৈরি জেলার মূল ওই ক্লাবের সদস্য সংখ্যা ১৫ জন। তাঁরা নিজেরা সারাবছর বিভিন্ন মরসুমি ফসল চাষ করার পাশাপাশি জেলার নয়টি ব্লকে পনেরো হাজারেরও বেশি চাষিকে নিয়মিত চাষের বিষয়ে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেন। কৃষি দফতরের বরাদ্দ করা বীজ, সার-সহ বিভিন্ন চাষের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি চাষিদের পৌঁছে দেন।
কলকাতার জ্ঞানমঞ্চে নাবার্ডের ৩৩-তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে শনিবার জেলা ফার্মাস ক্লাব সদস্যদের হাতে স্মারক ও শংসাপত্র তুলে দেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। রবিবার রাধিকাপুর এক্সপ্রেসে রায়গঞ্জে ফিরলে স্টেশন চত্বরেই তাঁদের সংবর্ধনা জানান জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা।
জেলা ফার্মাস ক্লাব সদস্যরা তিন বছর ধরে হেমতাবাদ ব্লকের পাঁচটি পঞ্চায়েতের প্রায় দেড় হাজার বিঘা জমিতে ড্রাম সিডার, শ্রী প্রযুক্তি, জিরো টিলেজ পদ্ধতিতে ধান, পাট, গম, ভুট্টা, সর্ষে-সহ বিভিন্ন মরসুমি সবজি চাষ করে সফল হয়েছেন। কম খরচে উত্পাদন বেশি। জৈব সার দিয়ে তুলাইপাঞ্জি চাষ করেও তাঁরা বেশি ধান ফলান। সম্পাদক জ্যোতিষচন্দ্র বর্মন, সভাপতি কৌবাজ আলি জানান, কৃষি দফতরের পরামর্শ ও নাবার্ডের আর্থিক অনুদান ছাড়া চাষিদের পক্ষে চাষে সাফল্য পাওয়া সম্ভব হত না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy