রাজ পরিবারের কুলদেবতা মদনমোহন দেবের নৌকাবিহার উৎসবের বাজেট বাড়াল। দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড এ বার বাংলা নববর্ষের দিন মদনমোহন দেবের বিগ্রহ সুসজ্জিত নৌকায় বসিয়ে সাগরদিঘি পরিক্রমা করানো হবে। প্রতিবছর রীতি মেনে মদনকাম দেবের পুজোর পর দিন মদনমোহন বিগ্রহ নিয়ে নৌকাবিহার উৎসব হয়। এ বার তিথির জন্য উৎসব পড়েছে ১ বৈশাখ। দেবোত্তর কর্তৃপক্ষ তো বটেই রাজ পরিবারের প্রবীণ দুয়ারবক্সিও শেষ বার কবে বাংলা নববর্ষে ওই উৎসব হয়েছে তা মনে করতে পারছেন না।
গতবছর উৎসবের বাজেট ছিল ৩৬৪৫০ টাকা। তা বেড়ে ৪৩৫৫০ টাকা হয়েছে। মদনমোহন বিগ্রহের নিরাপত্তার জন্য আলোর ব্যবস্থার বন্দোবস্ত করার পাশাপাশি পুলিশ ও অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের প্রশিক্ষিত ডুবুরিদের সাগরদিঘি চত্বরে মোতায়েন রাখার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। ট্রাস্ট বোর্ডের সদস্য তথা কোচবিহার সদরের মহকুমা শাসক বিকাশ সাহা বলেন, “বিভিন্ন খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে ওই উৎসব আয়োজনে খামতি রাখা হচ্ছে না। বাজেটও বেড়েছে।”
দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন রীতিমত শোভাযাত্রা করে রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ মূল মন্দির থেকে মদনমোহন বিগ্রহ সাগরদিঘি চত্বরে রওনা হবে। বাণেশ্বর, ষান্ডেশ্বর মন্দিরে মহাদেব, রাজমাতা, ডাংগোরাই মন্দিরে মদনমোহন বিগ্রহ শোভাযাত্রায় থাকবে। দিঘি চত্বরে পৌঁছনোর পর ফুল, কাপড়, আলোসজ্জিত দুই নৌকার একটিতে মূল মদনমোহন মন্দিরের বিগ্রহের সঙ্গে পূজারি ও কয়েকজন হাতেগোনা দেবোত্তর কর্মী থাকবেন। নৌকাবিহার উৎসবের এমন রেওয়াজ কেন? প্রবাদ অনুযায়ী মন্দির চত্বরে মদনকাম দেবের পুজোয় চালের নাড়ু, ভাঙের নাড়ু প্রসাদ দেওয়া হয়। ভুল করে মদনমোহন দেব ভাঙের নাড়ুতে নেশাচ্ছন্ন হয়ে আমিষ খেয়ে নেন। বৈষ্ণব মদনমোহনকে প্রায়শ্চিত করতে দিঘিতে স্নানের বিধান দেন দেবতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy