বাধা মঞ্চ খুলে ফেলা হচ্ছে কোচবিহার শহরের এমজেএন স্টেডিয়ামে। সোমবার হিমাংশুরঞ্জন দেবের তোলা ছবি।
মঞ্চ বাঁধার তোড়জোরের মধ্যে বাতিল করে দেওয়া হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মিসভা। সোমবার দুপুরের কোচবিহারের তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও প্রশাসনের কর্তাদের কাছে ওই সভা বাতিলের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। তার পরেই মঞ্চ ভাঙার কাজ শুরু হয়ে যায়। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “বিশেষ কারণে কর্মিসভা বাতিল হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলে মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে দুটি জনসভা করবেন।” তৃণমূল সূত্রের খবর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক সভা রয়েছে। সেই সব শেষ করে মুখ্যমন্ত্রীর কোচবিহারে পৌঁছতে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার কথা। তাতে কর্মিসভা শেষ হতে রাত হয়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার খবর চার দিকে ছড়িয়ে পড়েছিল, তাতে রাতে ওই স্টেডিয়ামে উপচে পড়া ভিড় হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিলই। সেই ছিল নিরাপত্তার প্রশ্নও। গোয়েন্দা দফতরের এই রিপোর্ট রাজ্য পুলিশের কাছে পৌঁছয়। তার পরে এই সভা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব অবশ্য মনে করছেন, কোচবিহারে দলের সংগঠন যথেষ্টই শক্তিশালী রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এক বার এলেই আসন নিশ্চিত।
সাহুডাঙিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভাস্থল সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।
সোমবার বিশ্বরূপ বসাকের তোলা ছবি।
মুখ্যমন্ত্রীর কোচবিহারে কর্মিসভার করার কথা গত শনিবার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের জানান। বীরপাড়ায় একটি সভা করার পর বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ কোচবিহারে সভা করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। প্রথমদিকে তৃণমূল নেতৃত্ব দিনহাটায় সভা করার কথা ভাবেন। কিন্তু সীমান্ত শহরে রাতে কর্মিসভা সেরে কর্মীদের বাড়িতে ফিরতে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে ভেবে কোচবিহার শহরে রাসমেলার মাঠের পাশে এমজেএন স্টেডিয়ামে সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রবিবার সকাল থেকে দফায় দফায় প্রশাসনের কর্তারা এবং তৃণমূল নেতৃত্ব মাঠ পরিদর্শন করেন। মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সভার কথা প্রচার করাও শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত এদিন দুপুরের পরে ওই সভা বাতিল করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy