Advertisement
E-Paper

খাদ্যে বদল, গরমে সতর্ক ভোট-প্রার্থী

কেউ পুরোপুরি আমিষ বর্জন করেছেন, কেউ বা সিঙারা, তেলেভাজা দেখলেই মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন। কারও মেনুতে বড় মাছকে সরিয়ে ছোট মাছের উপস্থিতি, কেউ বা আপাতত ছাতু-ছানায় থিতু। খাদ্য তালিকা নিয়ে ভোটে বিধি নিষেধ না থাকলেও, রাজনৈতিক নেতাদের রসনায় পড়েছে ভোটের প্রভাব।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৪ ০২:০২

কেউ পুরোপুরি আমিষ বর্জন করেছেন, কেউ বা সিঙারা, তেলেভাজা দেখলেই মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন। কারও মেনুতে বড় মাছকে সরিয়ে ছোট মাছের উপস্থিতি, কেউ বা আপাতত ছাতু-ছানায় থিতু। খাদ্য তালিকা নিয়ে ভোটে বিধি নিষেধ না থাকলেও, রাজনৈতিক নেতাদের রসনায় পড়েছে ভোটের প্রভাব।

বৈশাখের শুরুতেই ভোট। গোটা চৈত্র মাস জুড়েই চলবে ভোটের প্রচার। কড়া রোদে দিনভর সভা, পদযাত্রার পরে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত প্রচার চলবে সব দলেরই। তাই শরীর যাতে কাহিল হয়ে না পড়ে, তার জন্য সর্তক কোচবিহারের সব দলেরই নেতারা।

ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠা অভ্যেস তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। দলের প্রচারের মূল দায়িত্ব তাঁর উপরেই। রবীন্দ্রনাথবাবু নিজের জন্য তৈরি করেছেন ভোট মেনু। সকালে উঠেই আগের রাতে কাঁচা লঙ্কা ভেজানো এক গ্লাস জল। স্নান সেরে লেবুর রস মেশানো ঈষত্‌ উষ্ণ জল। সাধারণত সপ্তাহে তিন দিন নিরামিষ খেতেন তিনি। ভোটের কারণে এখন সপ্তাহে প্রতি দিনই নিরামিষ। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময়ে ভাতের সঙ্গে করলার সুক্তো, ডাল, সজনে ডাঁটা বা এঁচোড়ের হালকা ঝোল। শেষ পাতে চিনি ছাড়া চালতার চাটনি। রাতে বাড়ি ফিরে রুটি-সব্জি। ভোটের জন্য মেনু বদল মেনে নিয়েছেন রবীন্দ্রনাথবাবুর স্ত্রী রেবাদেবী। তিনি বলেন, “ওঁর জন্য সপ্তাহে তিন দিন নিরামিষ রান্না হত। এখন রোজই নিরামিষ হচ্ছে। আর বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে বেশ কয়েক বোতল জল সঙ্গে দিয়ে দিচ্ছি।” আর রবীন্দ্রনাথবাবুর কথায়, “দুপুরে খাওয়ার সুযোগ হয় না। বিকেলে হাল্কা টিফিন করি। গরম পড়ে গিয়েছে। খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।”

মেনু পরিবর্তনে অবশ্য আক্ষেপ ঝরে পড়েছে জেলা কংগ্রেস সভাপতির কথায়। সাধারণ ভাবে জেলা কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল চৌধুরী রোজ সকালে চায়ের সঙ্গে বিস্কুট-কলা, দুপুরে মাছ ভাত, রাতে একগ্লাস দুধ আর বিস্কুটে স্বচ্ছন্দ্য। তবে সিঙারা বা তেলভাজার প্রতি তাঁর অদ্যম টান দলের কর্মীদের কাছেও পরিচিত। ভোট প্রচারের জেরে ইদানীং দুপুরের খাওয়া শিকেয় উঠেছে। সকালে ও রাতে হালকা খাবার। কিন্তু শ্যামলবাবুর খেদ অন্য জায়গায়। তিনি বলেন, “৬৯ চলছে। তবু তেলেভাজা আর সিঙারা আমার দুর্বলতা। এখন শরীর সুস্থ রাখতে সে সব দুর্বলতা কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। সব সময় যে পারছি, তা নয়। কখনও তেলেভাজা খেলে অম্বলের ভয়ে জল খাচ্ছি না।”

বিজেপি-র প্রার্থী হেমচন্দ্র বর্মনের অন্যতম সেনাপতি হলেন দলের জেলা সম্পাদক নিখিলরঞ্জন দে। তিনিও খাবারের বিষয়ে নিয়ম মেনে চলছেন। সকালে চা বিস্কুটের পরিবর্তে বুটের ছাতুু, গড়ে ৫ লিটার জল। রাতে কম মশলা দিয়ে ছোট মাছের ঝোল আর ভাত। নিখিলবাবুর কথায়, “সোম আর শনিবার এমনিই নিরামিষ খাই। তবে সকালের মেনুতে ছাতুটা সংযোজন।” ফরওয়ার্ড ব্লক জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহও ‘স্বল্পাহারী’ রুটিন মেনে চলছেন। সকালে তিনটে পাউরুটি, একটা মিষ্টি। দুপুরে ভাত, উচ্ছে আলু ভাজা, মাছের ঝোল আর রাতে তিনটি রুটি, সব্জি, ছানা। উদয়নবাবুর কথায়, “রাতে নিরামিষ খাচ্ছি। সুযোগ পেলে রাস্তায় মরসুমি ফল খেয়ে নিচ্ছি।” উদয়নবাবুর শরিক দল সিপিএম নেতা অনন্ত রায়ের নিরামিষ না-পসন্দ। অনন্তবাবুর বক্তব্য, “স্রেফ মাছ-ভাত আমার প্রিয়। তবে এখন প্রচারের ব্যস্ততার জন্য তাও প্রতিদিন হচ্ছে না। শরীর ঠিক রাখতে পর্যাপ্ত জল পান করছি।”

election campaign candidates food habits
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy