Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

খেলার মাঠে শতাধিক মহিলা

ওঁরা প্রত্যেকেই মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য। স্কুলছাত্রী থেকে শুরু করে ওঁদের মধ্যে সাধারণ গৃহবধূ, তরুণী ও কিশোরীও রয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠী চালানোর পাশাপাশি ওঁদের মধ্যে অনেকেই সারাবছর ধরে এলাকার মহিলা এবং শিশুদের মধ্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সুরক্ষা এবং পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতা চালানোর কাজ করেন।

রায়পুর অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুল মাঠে তরুণ দেবনাথের তোলা ছবি।

রায়পুর অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুল মাঠে তরুণ দেবনাথের তোলা ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৪ ০১:২০
Share: Save:

ওঁরা প্রত্যেকেই মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য। স্কুলছাত্রী থেকে শুরু করে ওঁদের মধ্যে সাধারণ গৃহবধূ, তরুণী ও কিশোরীও রয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠী চালানোর পাশাপাশি ওঁদের মধ্যে অনেকেই সারাবছর ধরে এলাকার মহিলা এবং শিশুদের মধ্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সুরক্ষা এবং পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতা চালানোর কাজ করেন। উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার এ রকমই চারটি মহিলা দলের শতাধিক সদস্যকে নিয়ে শুক্রবার সারা দিন ধরে ফুটবল ও মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতার আয়োজন করল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চাইল্ড ইন নিড ইনস্টিটিউট (সিনি)। এদিন রায়গঞ্জ ব্লকের বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুর অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুল মাঠে অনুষ্ঠানটি হয়।

সিনির জেলা প্রকল্প ম্যানেজার সৌম্যশেখর পাল ও রিসোর্স পার্সন সুদীপ্ত রায় জানান, চারটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা সংসার ও পড়াশুনা সামলে সারা বছর ধরে এলাকার মহিলা ও শিশুদের মধ্যে নানা সচেতনতার কাজ করেন। সেই সঙ্গে তাঁরা বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করে তা বিপনণও করেন। তাঁদের কাজের উৎসাহ বাড়াতেই এ দিন তাঁদেরকে নিয়ে ফুটবল ও মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ দিন রায়পুর মাতঙ্গিনী হাজরা স্বনির্ভর দল, রায়পুর সরোজিনী স্বনির্ভর দল, বাঙালবাড়ি প্রতিবাদ কিশোরী দল ও হেমতাবাদ সৃজনী মহাসঙ্ঘ মহিলা দলের মোট ১৫০ জন সদস্য ফুটবল ও মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। ফাইনাল খেলায় হেমতাবাদ সৃজনী মহাসঙ্ঘ রায়পুর সরোজিনী স্বনির্ভর দলকে ১-০ গোলে পরাজিত করে। সিনির তরফে ফুটবল ও মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী মহিলা খেলোয়াড়কে মিষ্টি খাওয়ানোর পাশাপাশি পুরস্কার দেওয়া হয়। মহিলাদের ফুটবল খেলা দেখতে মাঠে বহু মানুষ ভিড় করেন। নকআউট পর্যায়ের প্রতিটি খেলাই ৩০ মিনিট করে হয়। চারটি দলের মহিলা সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের এলাকায় কার্পেট, কাপড়ের পুতুল, ব্যাগ, শুকনো খাবার তৈরি সহ কাঠ ও বাঁশের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করে স্বনির্ভর হয়েছেন। রায়পুর মাতঙ্গিনী হাজরা স্বনির্ভর দলের সদস্য অষ্টম ও নবম শ্রেণির ছাত্রী সোনালি বর্মন ও মিতা দাস এবং রায়পুর সরোজিনী স্বনির্ভর দলের সদস্য দশম ও নবম শ্রেণির দুই ছাত্রী রিঙ্কি বর্মন ও পল্লবী বর্মন। তাঁরা জানান, সারাবছর ধরে একঘেয়েমি কাজ করার পর এদিন ফুটবল ও মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতায় সামিল হতে পেরে দারুণ লাগল। কাজের উৎসাহ বেড়ে গেল। বাঙালবাড়ি প্রতিবাদ কিশোরী দলের সদস্য তথা প্রথম বর্ষের ছাত্রী সানুয়ারা খাতুন ও হেমতাবাদ সৃজনী মহাসংঘ মহিলা দলের সদস্য তথা গৃহবধূ জ্যোৎস্না খাতুন বলেছেন, “আমাদের আনন্দ দিয়ে কাজে উৎসাহ বাড়ানোর জন্য সিনি যে উদ্যোগ নিল, তাতে সত্যিই আমরা খুশি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

roypur raiganj
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE