Advertisement
E-Paper

গাছ কাটার অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক

রাতের অন্ধকারে একটি বড় গাছ কেটে ফেলাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক ছড়াল। শিলিগুড়ির সেবক রোডের সেচ দফতরের অফিসের সামনের একটি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষই তাদের ভবনের সামনে থাকা গাছটি কাটিয়েছেন বলে যুব তৃণমূলের দাবি। যদিও তা অস্বীকার করেছেন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৪ ০৩:৫৪
শিলিগুড়ির সেবক রোডে কেটে ফেলা গাছ। ছবি তুলেছেন বিশ্বরূপ বসাক।

শিলিগুড়ির সেবক রোডে কেটে ফেলা গাছ। ছবি তুলেছেন বিশ্বরূপ বসাক।

রাতের অন্ধকারে একটি বড় গাছ কেটে ফেলাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক ছড়াল।

শিলিগুড়ির সেবক রোডের সেচ দফতরের অফিসের সামনের একটি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষই তাদের ভবনের সামনে থাকা গাছটি কাটিয়েছেন বলে যুব তৃণমূলের দাবি। যদিও তা অস্বীকার করেছেন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। বাসিন্দারাও নার্সিংহোম কতর্র্র্ৃপক্ষের দিকেই আঙুল তুলেছেন। তবে বিষয়টি জানেন না বলে জানান এলাকার কাউন্সিলর প্রীতিকণা বিশ্বাস ও শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। নার্সিংহোমের পক্ষ থেকেই অবশ্য পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

দার্জিলিং জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মনোজ বর্মার অভিযোগ, “এর আগেও হিলকার্ট রোডে একটি গাছ কেটে ফেলেছিল দুষ্কৃতীরা। মেয়রের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও উনি কোনও ব্যবস্থা নেননি।” যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে পুলিশে এবং পুরসভায় দুটি অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি। মেয়র গঙ্গোত্রীদেবী ষিয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। এলাকার এক ব্যবসায়ী জানান, রাতে কয়েকজন গাছ কাটছিল বলে জানতে পেরেছি। কিন্তু কে বা কারা এর সঙ্গে যুক্ত ছিল তা জানা যায়নি। এক ফল ব্যবসায়ী বলেন, “দুষ্কৃতীরা গাছ কাটলে ডালপালা ফেলে যেত না। গাছের কাটা অংশ সারাদিনই পড়ে ছিল গাছের পাশেই।

নার্সিংহোমের কর্ণধার সুশান্ত রায়ের দাবি, “আমরা গাছ কাটিনি। আমরা বৃক্ষরোপণের পক্ষে। অন্য দোকান মালিকেরা কেটে থাকতে পারেন।” পরে তাঁরাই ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ জানান। পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে যান। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগ মোহন বলেন, “থানায় খোঁজ নিয়ে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেব।” এলাকার কাউন্সিলর প্রীতিকণাদেবী বলেন, “আমাকে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষই ঘটনার কথা জানান। কী ভাবে কী হয়েছে তা বুঝতে পারছি না।”

বৃহস্পতিবার রাতে গাছটির গোড়ার কিছুটা উপর থেকে সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়। ফলে গাছটি এখন ডালপালা হারিয়ে একটি খুঁটিতে পরিণত হয়েছে। ডাল কেটে দেওয়ায় পিছনে থাকা নার্সিংহোমটিই সবচেয়ে সুবিধা পেয়েছে বলে অভিযোগকারীদের দাবি। তাই সন্দেহের তির নার্সিংহোমের দিকেই যাচ্ছে বলে এলাকার ব্যবসায়ীদের অনেকে মনে করছেন। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর দাবি, এ ধরনের ঘটনা বন্ধে পুরসভা উদ্যোগী হোক।

siliguri felling of trees
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy