এক গৃহবধূ ও তার কিশোরী মেয়েকে গণধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তদের পুলিশ আড়াল করতে চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রায়গঞ্জে দলের জেলা অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে ওই অভিযোগ করেছেন ইটাহারের প্রাক্তন সিপিআই বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, “হামলার অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেও ওই গৃহবধূ, তাঁর মেয়ে, শ্বশুর ও শাশুড়ির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়নি। মামলায় অভিযুক্ত ১০ জনের মধ্যে ৭ জন গ্রেফতার হলেও মূল অভিযুক্ত ভুলু দাস সহ তিনজন এখনও অধরা। ১৫ থেকে ২০ জন অভিযুক্তকে পুলিশ চিহ্নিত করতে কোনও পদক্ষেপ করেনি। অভিযুক্তরা সকলেও তৃণমূলের কর্মী সমর্থক হওয়ার কারণে শাসক দলের চাপেই পুলিশ প্রথম থেকেই তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।” জমি নিয়ে বিবাদের জেরে হামলা, খুনের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করার ১২ দিন পরে গত বৃহস্পতিবার ইটাহারের বোরোট এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তাঁর জা ও জায়ের মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। ওই মহিলা আগের মামলায় অভিযুক্ত ১০ জন সহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে ওই দিন গণধর্ষণ ও গণধর্ষণে মদতের অভিযোগ জানান। এদিন মালদহের চাঁচল এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ওই মহিলা ও তার মেয়েকে নিয়ে এসে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে তাদের ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছে পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজা বলেন, “যে কেউ সাংবাদিক সম্মেলন করে যা খুশি বলতে পারেন। তা নিয়ে মন্তব্য করব না। পুলিশ আইন মেনে কাজ করছে। ঘটনার ১২ দিন পরে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ ওই গৃহবধূ ও তার মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ওই মহিলা ও তাঁর মেয়েকে আদালতে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার ব্যবস্থা করতেও পুলিশের কোনও আপত্তি নেই।”
জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য দাবি করেন, তাঁদের দলের কেউ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর অভিযোগ, পায়ের তলার মাটি হারিয়ে স্পর্শকাতর অবিযোগ নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। ওই মহিলার আগের অভিযোগ অনুযায়ী, তাঁদের ১৮ শতক জমি দখল করার জন্য গত ১৮ অক্টোবর ভুলু দাসের নেতৃত্বে অভিযুক্তরা তাদের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁর শ্বশুর, শাশুড়ি, জা ও জায়ের মেয়েকে মারধর ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে জখম বোমাবাজি ও গুলি চালিয়ে শ্লীলতাহানি করে। বৃহস্পতিবার তিনি নতুন করে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে জানান, তাঁর জা ও জায়ের মেয়েকে অভিযুক্তরা গণধর্ষণ করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy