কর্মিসভায় গুরুঙ্গ। —নিজস্ব চিত্র।
সুবাস ঘিসিঙ্গ ফিরতেই জিএনএলএফ অতিমাত্রায় পাহাড়ে সক্রিয় হওয়ায় কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। শুক্রবার দার্জিলিঙের ফুলবাড়িতে এক কর্মিসভায় সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। সুবাস ঘিসিঙ্গ নানা চাপের মুখে পড়ে কার্যত পাহাড়ে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন বলেও গুরুঙ্গের দাবি। তাঁর অভিযোগ, “ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নেওয়া, গোর্খা পর্বাত্য পরিষদের সময়কালের দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত শুরুর মতো নানা আশঙ্কা রুখতেই ঘিসিঙ্গ পাহাড়ে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন।” সেই সঙ্গে তৃণমূলের সমালোচনাও করেছেন গুরুঙ্গ। তাঁর দাবি, “আমাদের কাছে সমর্থন চেয়েছিল তৃণমূল। অনেক কিছু দিতেও চেয়েছিল। কিন্তু, তৃণমূল গোর্খাল্যান্ডের বিরুদ্ধে বলে আমরা সমর্থন করিনি। বরং বিজেপি অতীতেও গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন করেছে, এ বারও করছে। তাই সমর্থন না দিয়ে তৃণমূলকে শিক্ষা দিয়েছি। যা কি না এক গালে চড় মারার সামিল।”
গুরুঙ্গের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন পাহাড়ের জিএনএলএফ নেতাদের অনেকেই। তাঁদের বক্তব্য, অতীতে ঘিসিঙ্গের স্ত্রীর মৃত্যুর পরে দেহ নিয়ে পাহাড়ে উঠতে যিনি দেননি, সেই মোর্চা সভাপতির জিএনএলএফ প্রধানকে নিয়ে কোনও কথা বলার অধিকার নেই। জিএনএলএফ নেতাদের অনেকেরই অভিযোগ, মোর্চা গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সামনে রেখে কী করছে তা গত ৭ বছর ধরে পাহাড়বাসী দেখতে পাচ্ছেন।
তৃণমূলের পাহাড়ে শাখার অন্যতম নেতা এন বি খাওয়াশ অবশ্য দাবি করেন, আসন্ন লোকসবা ভোটে হার নিশ্চিত বুঝেই গুরুঙ্গ উল্টোপাল্টা বকছেন। এন বি খাওয়াশ বলেন, “২০০৯ সালে পাহাড়ে একজনকে এনেছিল মোর্চা। উনি পাহাড়বাসীর এক গালে চড় মেরে চলে গিয়েছেন। এবার আরেকজনকে এনেছে মোর্চা। পাহাড়বাসীর অন্য গালে চড় পড়ার ব্যবস্থা মোর্চা করতে চাইছে।” সেই সঙ্গে ঘিসিঙ্গের পাহাড়ে ফেরার ব্যাপারে তৃণমূলের ওই নেতার মন্তব্য, “গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন। যাঁরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নন, তাঁরাই যাতায়াতে বাধা দিতে চান। প্রশ্ন তোলেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy