Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

চা শ্রমিকদের জন্য ফেসবুকে সরব গুরুঙ্গ

শ্রমিক দিবসে চা বিষয়ে পৃথক মন্ত্রক গঠন করা, চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবি জানালেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। গত বৃহস্পতিবার শ্রমিক দিবসে সোশাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট ‘ফেসবুকে’র মাধ্যমে গুরুঙ্গ এই দাবিগুলি জানিয়েছেন। বিমল গুরুঙ্গ অফিসিয়াল নামে ফেসবুকে গুরুঙ্গের নিজস্ব ‘পেজ’ রয়েছে। সেই পেজে অতীতেও দলের নানা কর্মসূচি ও সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন মোর্চা প্রধান। এবার শ্রমিক দিবসের দাবিও ফেসবুকে জানালেন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দার্জিলিং শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৪ ০২:০৮
Share: Save:

শ্রমিক দিবসে চা বিষয়ে পৃথক মন্ত্রক গঠন করা, চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবি জানালেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। গত বৃহস্পতিবার শ্রমিক দিবসে সোশাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট ‘ফেসবুকে’র মাধ্যমে গুরুঙ্গ এই দাবিগুলি জানিয়েছেন। বিমল গুরুঙ্গ অফিসিয়াল নামে ফেসবুকে গুরুঙ্গের নিজস্ব ‘পেজ’ রয়েছে। সেই পেজে অতীতেও দলের নানা কর্মসূচি ও সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন মোর্চা প্রধান। এবার শ্রমিক দিবসের দাবিও ফেসবুকে জানালেন তিনি।

ফেসবুকে ‘পোস্ট’ করা বিবৃতিতে গুরুঙ্গ অভিযোগ করেছেন, দার্জিলিং এবং ডুয়ার্সের চা শ্রমিকরা অত্যন্ত কম মজুরি পেয়ে থাকেন। চা শ্রমিকদের ন্যূনতম দৈনিক মজুরি অন্তত ৩২২ টাকা করার দাবি জানিয়েছেন গুরুঙ্গ। তিনি লিখেছেন, “মে দিবসে মোর্চার দাবি, চা শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো হোক। দৈনিক মজুরি ৯৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩২২ টাকা করলে চা শ্রমিকরা সম্মানজনক ভাবে বাঁচতে পারবেন।” চা বাগানের মহিলা শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি, শিশুদের জন্য সব বাগানে ক্রেশ, বাগানে শৌচাগার সহ শ্রমিকদের পেনশন ও স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আনার দাবিও জানান জিটিএ প্রধান।

১৯৫১ সালের চা বাগিচা আইন সংশোধন করা এবং চা শ্রমিকদের নিজস্ব জমির অধিকার নিয়েও গুরুঙ্গ ফেসবুকে ‘সরব’ হয়েছেন। জমির অধিকার নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের মতো রাজ্য সরকারকেও উদ্যোগী হতে গুরুঙ্গ আর্জি জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “আমরা কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় সরকারকেই চা শ্রমিকদের জমির অধিকার দিতে দ্রুত প্রক্রিয়া শুরু করার অনুরোধ করছি।”

নিজের চা শ্রমিক পরিবারের সন্তান পরিচয় দিয়ে ফেসবুকের পোস্টে ডুয়ার্সের সুনীতা ওঁরাও সহ রেডব্যাঙ্ক, সুরেন্দ্রনগর, ধরণীপুর চা বাগানের মৃত ৩১ জন শ্রমিক পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন গুরুঙ্গ। এঁদের সকলেরই অর্ধাহার, অপুষ্টি এবং কতৃর্পক্ষের গাফিলতির কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে গুরুঙ্গ অভিযোগ করেছেন। চা শ্রমিকদের দুর্দশা ঘোচাতে ‘সরকার’ উদ্যোগী হোক বলেও গুরুঙ্গ দাবি করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

facebook gurung tea workwers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE