দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল এলাকার ৫ যুবকের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ইসলামপুর থানায় সেই অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বাবা। অভিযোগ, গত ৭ মার্চ ইসলামপুর শহরে পরীক্ষার প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে গিয়েছিলেন ইসলামপুর থানার আগডিমঠি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রী। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ ইসলামপুর থানার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকাতে তাঁকে চা খাওয়ার প্রস্তাব দেয় পড়শি গ্রামের এক যুবক। তাতে রাজি না হলে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয় বলে দাবি। রাতভর খোঁজাখুঁজির পরে তাকে পাননি পরিবারের লোকেরা। গত ৮ মার্চ সকালে ইসলামপুর থানার পাটাগড়া সংলগ্ন এলাকাতে একটি চা বাগানের মাঝে অচৈতন্য অবস্থায় তাকে দেখতে পান গ্রামের বাসিন্দারা।
এলাকার এক গ্রামীণ চিকিত্সকের কাছে তার চিকিত্সা করান পরিবারের লোকেরা। গত ৯ মার্চ ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। তাঁর বাবা জানিয়েছেন, তাঁকে ধর্ষণ ও মারধর করেছে ওই অভিযুক্তেরা। দেহে কয়েক জায়গায় আঘাত রয়েছে। এর পর বৃহস্পতিবার রাতে ইসলামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর পরিবারের লোকেরা। ইসলামপুরের এসডিপিও বৈভব তিওয়ারি বলেন, “একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই হিসেবে তদন্তের কাজ চালানো হচ্ছে। ঘটনার খবর পেয়েই এলাকাতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অভিযুক্তরা পলাতক। ওই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষাও করানো হচ্ছে।”
যে যুবক প্রথমে তাকে চা খেতে বলেছিল, সে তার মুখছেনা বলে জানিয়েছে ছাত্রী। ওই যুবক এর আগে অনেকবার তাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছে। ছাত্রী বলে, তাকে মারধর করে যুবকতার বন্ধুরা। সে বলে, “আমি অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলাম। কাজেই আমাকে ধর্ষণ করেছে কি না, তা বুঝতে পারিনি।” ওই ছাত্রীর বাবা দিল্লিতে রিকশা চালান। সম্প্রতি বাড়িতে এসেছেন তিনি। তিনি বলেন, “মেয়ের জীবনটাই নষ্ট হয়েছে।”
তবে ঘটনাটি ঘটার প্রায় ৫ দিন পরে অভিযোগ দায়ের করার কারণ নিয়ে অবশ্য ওই ছাত্রীর বাবার দাবি, “বিষয়টি নিয়ে এলাকার প্রধানকে জানালেও তিনি ব্যবস্থা নেননি। এর পরই কোন উপায় না দেখে থানাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।”
যদিও বিষয়টি নিয়ে আগডিমঠি খুন্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম এর প্রধান তাহের আলম বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমি আলোচনায় যেতে চাইনি। তাদের উপদেশ দিয়েছিলাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার বিষয়ে। এমনকি বলেও ছিলাম সমস্যায় পড়লে আমাকে জানাতে। পরে ব্যস্ততার কারণে খোঁজ নিতে পারিনি। তবে তারা কেন দেরি করে অভিযোগ করল বুঝতে পারছি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy