Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

জমি নিয়ে বিবাদে ১৪৪ ধারা জারি

জমি বিবাদের জেরে কার্শিয়াঙের এক চা বাগান লাগোয়া এলাকার ১৫৫ একর জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করল মহকুমা প্রশাসন। বুধবার কার্শিয়াঙের মহকুমা প্রশাসন অম্বুটিয়া চা বাগান লাগোয়া ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দার্জিলিং শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৪ ০২:৪৪
Share: Save:

জমি বিবাদের জেরে কার্শিয়াঙের এক চা বাগান লাগোয়া এলাকার ১৫৫ একর জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করল মহকুমা প্রশাসন। বুধবার কার্শিয়াঙের মহকুমা প্রশাসন অম্বুটিয়া চা বাগান লাগোয়া ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সম্প্রতি জমির মালিকানা নিয়ে চা বাগান কর্তৃপক্ষ এবং সিঙ্কোনা প্ল্যান্টেশন কর্তৃপক্ষের টানাপোড়েন শুরু হয়। জমিটি কার দকলে থাকবে তা নিয়ে চা শ্রমিকদের সঙ্গে সিঙ্কোনা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের মধ্যে বচসা হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই মহকুমা প্রশাসনের তরফে ৬০ দিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। কার্শিয়াঙের মহকুমা শাসক ইউ স্বরূপ বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হলেও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় পদক্ষেপ করা হবে।”

চা বাগান লাগোয়া ১৫৫ একর জমির মধ্যে ৬ একরে চা গাছের চারা লাগোনা কেন্দ্র করে বিবাদের সূত্রপাত বলে জানা গিয়েছে। ওই জমির ৩৪ একরে সিঙ্কোনা বাগান, ৫৮ একরে জঙ্গল এবং ৪০ একর জমিতে বাঁশ গাছ রয়েছে। বাকি ৬ একরে সম্প্রতি বাগান কর্তৃপক্ষ চা গাছের চারা লাগায় বলে জানা গিয়েছে। সিঙ্কোনা প্ল্যান্টেশনের অধিকর্তা স্যামুয়েল রাই বলেন, “গত মার্চ মাসে ওই ৬ একর জমিতে সিঙ্কোনা চারা লাগানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়। সেই জমিতে চা বাগান কর্তৃপক্ষ চা গাছের চারা লাগিয়ে দেওয়ায় আমরা প্রশাসনের সাহায্য চেয়েছি।” অধিকর্তার দাবি, ১৯৭৬ সালে ১৫৫ একর জমি চা বাগান কর্তৃপক্ষের থেকে নিয়ে সিঙ্কোনা প্ল্যান্টেশন কর্তৃপক্ষকে রাজ্য সরকার হস্তান্তর করে। সেই সময় থেকেই ওই জমিতে কর্তৃপক্ষ নানা রকমের বাগিচা চাষ করছে বলে দাবি করা হয়েছে।

অন্য দিকে, চা বাগান কর্তৃপক্ষের দাবি, ২০০৬ সালে ওই জমি চা বাগানকে দেওয়া হয়। রাজ্য সরকারের সেই হস্তান্তরের নথি ভূমি দফতরে জমা দেওয়া হয়েছে। যদিও সিঙ্কোনা অধিকর্তার দাবি, তাঁদের দফতরে এই সংক্রান্ত কোনও নথি নেই। হৃতিক ইনভেস্টমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক সংস্থা অম্বুটিয়া চা বাগানের সহযোগী সংস্থা। ওই সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, তাদের কাছে জমির প্রয়োজনীয় নথিপত্র রয়েছে। সংস্থার অধিকর্তা (বাগিচা) অনিল বনশল বলেছেন, “২০০৬ সালে সরকারের থেকে ওই জমি আইনগত ভাবে আমরা অধিগ্রহণ করেছি। এই জমি নিয়ে বির্তকের কোনও রকম কারণ-ই থাকতে পারে না। আমাদের বাগানের এলাকা সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেই কারণে নতুন চারা লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

darjeeling land dispute section 144
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE