তিন মাস ধরে প্রায়ই লোডশেডিঙে জেরবার হয়ে মালদায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন বাসিন্দারা। শুক্রবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুরের রাড়িয়ালে প্রায় চার ঘণ্টা ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ চলে। হরিশ্চন্দ্রপুরের-১ এর বিডিও ও বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির আধিকারিকের কথায় অবরোধ তুলে নেন বাসিন্দারা।
সারা দিনে গড়ে দু’ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকে না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। সামান্য বৃষ্টি বা ঝড় হলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং চলে। গত তিন মাস ধরে এই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন রাড়িয়াল সহ সালালপুর, বাগমারা ও ভবানীপুর এলাকার মানুষ। বহুবার বলেও কোনও কাজ হয়নি। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদ পথে নামেন তিতিবিরক্ত সাধারণ মানুষ। অবরোধের জেরে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কে। ভোগান্তিতে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। চার ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলতে থাকায় মহকুমা শাসকের নির্দেশে এলাকায় যান হরিশ্চন্দ্রপুর-১ বিডিও বিপ্লব কুমার রায়। সঙ্গে ছিলেন বিদ্যুত বণ্টন কোম্পানির হরিশ্চন্দ্রপুরের স্টেশন ম্যানেজার সঞ্জীব দাস। তাঁরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেওয়ার পরে দুপুর দু’টো নাগাদ অবরোধ উঠে যায়। এর পরে স্টেশন ম্যানেজারের নির্দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে এলাকায় গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন দফতরের কর্মীরা। শুক্রবারের মধ্যেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে হবে বলে দাবি করে ওই কর্মীদেরও বেশ কিছুক্ষণ আটকে রাখা হয়।
এ দিন বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির পক্ষে হরিশ্চন্দ্রপুরের স্টেশন ম্যানেজার সঞ্জীব দাস জানিয়েছেন, ওই এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনটি তুলসীহাটা লাইনের সঙ্গে রয়েছে। অন্যত্র কোনও সমস্যা হলেও সেখানে টানা বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। রাড়িয়াল এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইনটি অন্য লাইনের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে সমস্যা মেটানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy