যে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে সিকিমের পাহাড়ে তুষারপাত হয়েছিল, মঙ্গলবার সেই ঝঞ্ঝার কারণেই বৃষ্টি নামল সমতলে। সেই সঙ্গে শিলিগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ির তাপমাত্রাও এক লাফে কমে গিয়েছে বেশ কয়েক ডিগ্রি।
মঙ্গলবার দুপুর থেকেই শিলিগুড়ির আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা শুরু হয়। দুপুরের দিকে দু-এক ফোঁটা বৃষ্টিও হয়। বিকেলের দিকে কালো মেঘে আকাশ ঢেকে যায়। এক পশলা মাঝারি বৃষ্টির পরে শুরু হয় ইলশেগুঁড়ি। সেই বৃষ্টি আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে টানা চলতে থাকায় তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যায়। এ দিন সন্ধ্যার পরে শিলিগুড়ির বেশ কিছু এলাকায় বাসিন্দাদের হাফ হাতা সোয়েটার, জ্যাকেট পড়তে দেখা গিয়েছে।
সান্দাকফুতে বরফ পড়লেও গত কয়েকদিন ধরেই সমতলের তাপমাত্রা তুলনামূলক ভাবে বেশি ছিল বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।
জলপাইগুড়ির কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অন্তত ২-৩ ডিগ্রি বেশি ছিল। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, সিকিমের উপরে থাকা পশ্চিমী ঝঞ্ঝাটি ক্রমশ সমতলে নামতে থাকায় এ দিন দুপুর থেকে শিলিগুড়িতে বৃষ্টি শুরু হয়।
বৃষ্টি হয়েছে পাহাড়েও। এ দিন দুপুরে দার্জিলিঙে বেশ কিছুক্ষণ একনাগাড়ে বৃষ্টি হয়। বৃষ্টিতে শৈলশহরের দিনের তাপমাত্রা খুব একটা না কমলেও, রাতের তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে। অক্টোবরের শেষে এই বৃষ্টির পরে দার্জিলিঙের বাসিন্দাদের একাংশের ধারণা, এবার শীত জাঁকিয়ে পড়বে, এই বৃষ্টি তারই পুর্বাভাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy