বালুরঘাটে মাছের বাজারে তোলাবাজি ও তাণ্ডবে জড়িত সন্দেহে অভিযুক্ত শিবু কাহার এবং তার সঙ্গী উজ্জ্বল সরকারকে পুলিশ শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করেছে। ডিএসপি উত্তম ঘোষ বলেন, “অভিযুক্তদের জেরা করে তাদের হেফাজতে থাকা ১৩,০০০ জাল টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।” এ দিন ধৃতদের বালুরঘাটের সিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
এ দিকে তোলাবাজ সন্দেহে খোকন কর্মকারকে খুনের তিন দিন পরেও তোলাবাজদের প্রশ্রয় দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক চাপান উতোর চলছেই। বাম আমলে সিপিএমের মদতে খোকন ও তার দলবলের উত্থানের অভিযোগ তুলে শনিবারও সরব হন বালুরঘাটের তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায় বলেন, “ভোটের সময় কেউ তৃণমূলের মিছিলে হাঁটতেই পারেন। তাই বলে ওই ব্যক্তি তৃণমূল হয়ে গেলেন, এটা ঠিক নয়।” তাঁর দাবি, “বালুরঘাটে অপরাধীদের সঙ্গে যুক্ত কাউকেই তৃণমূলে নেওয়া হয়নি। খোকনদের সিপিএম ঘনিষ্ঠতা শহরবাসী দেখেছেন। সাধারণের দৃষ্টি ঘোরাতেই সিপিএম নেতৃত্ব এখন মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক মানবেশ চৌধুরী অবশ্য খোকনের সিপিএম-যোগের কথা অস্বীকার করেছেন।
বুধবার দুপুরে বালুরঘাটের মাছ বাজারে নিহত মাছ ব্যবসায়ী পরিতোষ দে-র আবক্ষ মূর্তিতে তোলাবাজেরা মদ ঢেলে প্রস্রাব করে বলে অভিযোগ। খোকনের পরিজনেরা জানান, সে সময় খোকন সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। তাঁদের দাবি, ওই ঘটনার পর ক্ষুব্ধ জনতা তাড়া করে অভিযুক্ত তোলাবাজ শিবু কাহারকে। শিবু পালিয়ে গেলেও ক্ষিপ্ত জনতা তার এবং পাশের অন্য একটি বাড়ি ভাঙচুর করে। খোকন বাড়ি থেকে বেরিয়ে কালীবাড়ি যেতে গলির রাস্তা ধরেছিল। সে সময় এক ব্যক্তি খোকনকে গণ্ডগোলের খবর জানান। খোকন বুড়াকালীবাড়ির রাস্তায় এসে পৌঁছতেই জনতার রোষের মুখে পড়ে।
এক পুলিশ অফিসারের কথায়, তোলাবাজির প্রতিবাদ করায় মাছ ব্যবসায়ী পরিতোষ দে-র খুনের অভিযোগে খোকনের নাম ছিল। কিন্তু পরে খুনের মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে যায় খোকন। সম্প্রতি খুনে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬ জন অভিযুক্তের মধ্যে ৪ জন জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের মাছবাজারে তাণ্ডব শুরু করে। অভিযুক্তদের পান্ডা বলে খোকনের বিরুদ্ধে সন্দেহ ছিলই। ফের বুধবারের তোলাবাজি ও পরিতোষবাবুর আবক্ষ মূর্তিকে অপমান করার মতো ঘটনায় ক্ষোভে ঘৃতাহুতি ঘটে। খোকনকে সামনে পেয়ে সেই রোষেই খুন করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy